আজ - সোমবার, ২৩শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৮ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২১শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি, (শীতকাল), সময় - রাত ১:১৯

আজ পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সাঃ)

মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর জন্ম এবং ওফাতের পুণ্য স্মৃতিময় দিন আজ সোমবার। ৫৭০ খ্রিষ্টাব্দের এই দিনে, অর্থাৎ আরবি রবিউল আউয়াল মাসের ১২ তারিখে তাঁর জন্ম হয়। ইহকালীন ও পরকালীন মুক্তির পথ দেখিয়ে ৬৩ বছর বয়সে একই তারিখে তিনি পৃথিবী ছেড়ে যান।

আরব দুনিয়া যখন আইয়ামে জাহেলিয়াত বা পাপাচারের অন্ধকারে ডুবে ছিল, তখন আলোকবর্তিকা হয়ে জন্ম হয় আল্লাহর রাসুল (সা.)-এর। মক্কার কুরাইশ গোত্রের সাধারণ পরিবারে তাঁর জন্ম। অল্প বয়সেই তিনি সত্যবাদিতা ও সততার প্রতীক হয়ে ওঠেন। শান্তি প্রতিষ্ঠার অগ্রদূত হন। ক্ষমাশীলতা, দানশীলতা ও সহিষ্ণুতায় তিনি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ মানুষে পরিণত হন। হজরত মুহাম্মদ (সা.) ৪০ বছর বয়সে নবুয়ত লাভ করেন। দীর্ঘ ২৩ বছর ইসলামের বার্তা প্রচার করেন। শুধু আধ্যাত্মিক শিক্ষা নয়, মদিনায় কল্যাণ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করেন।
সারাবিশ্বের ইসলাম ধর্মাবলম্বীর মতো বাংলাদেশের ধর্মপ্রাণ মুসলমানরাও যথাযোগ্য মর্যাদায় হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর জন্ম ও মৃত্যুর দিনটি ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) এবং সিরাতুন্নবী (সা.) নামে পালন করেন। নফল নামাজ আদায় ও রোজা রাখেন অনেকে। রাসুল (সা.)-এর স্মরণে কোরআনখানি ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা হয়।

ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন এবং প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস পৃথক বাণীতে বলেছেন, মহানবী (সা.)-এর সুমহান আদর্শ অনুসরণের মাধ্যমে দেশ, জাতি ও মানবতার কল্যাণে কাজ করার জন্য আল্লাহ সবাইকে তৌফিক দান করুন। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদেরসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা রাসুল (সা.)-

এর জীবনাদর্শ অনুসরণ করে দেশ ও জাতির কল্যাণে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন।
ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে আজ সরকারি ছুটি। বন্ধ থাকবে সংবাদপত্রও। বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সামাজিক ও ধর্মীয় সংগঠন আলোচনা সভা, মিলাদ, দোয়া মাহফিলসহ কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। ইসলামিক ফাউন্ডেশনে গতকাল রোববার শুরু হয়েছে পক্ষকালব্যাপী আয়োজন।

নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দোয়া-মাহফিলের আয়োজন করেছে বিএনপি। অন্যান্য বছর মিলাদ মাহফিল করলেও এবার আয়োজন নেই ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগের। আসর নামাজের পর মিলাদের আয়োজন করেছে জাতীয় প্রেস ক্লাব।
প্রতিবছরের মতো এবারও আশেকানে মাইজভান্ডারী জশনে জুলুসের আয়োজন করছে। আনজুমানে রহমানিয়া মইনিয়া মাইজভান্ডারীসহ বিভিন্ন ধর্মীয় সংগঠন শোভাযাত্রার আয়োজন করেছে।

আরো সংবাদ