আজ - বৃহস্পতিবার, ২৬শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১১ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৪শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি, (শীতকাল), সময় - সকাল ৭:১৩

আদালতের নির্দেশ না মেনেই যশোরের সড়কে চলছে চাঁদাবাজি!

খান জাহান আলী নিউজ ডেস্ক : যশোরের বিভিন্ন মোড়ে এখনও চলছে চাঁদাবাজি (টোল আদায়)। এবার প্রকাশ্যে না হলেও গোপনে চলছে এ নিরব চাঁদাবাজি। সম্প্রতি হাইকোর্টে এ সংক্রান্তে একটি রিট পিটিশনের পর মাননীয় আদালত সড়কপথে ব্যারিকেড দিয়ে এ ধরনের চাঁদাবাজি (টোল আদায়) বন্ধে নির্দেশ দিয়েছেন।

শহরের বিভিন্ন স্পটেই এ ধরনের চাঁদা দিতে হচ্ছে চালকদের এমনটি জানিয়েছেন তারা। যশোর সদরের মুড়লি, পুলেরহাট, খয়েরতলা (পেপসি মোড়), নিউমার্কেট (স্যালভেশন আর্মি মোড়), ঝুমঝুমপুর,রাজারহাট, চাঁচড়া চেকপোস্ট, ধলগা রাস্তা মোড়, নিউমার্কেট ও চুড়ামনকাটি এলাকায় এমন চাদাবাজি বেশি হয় বলে জানান চালকরা।  

যশোরের বিভিন্ন সড়কে পৌরসভা ও বিভিন্ন শ্রমিক ইউনিয়নের নামে রসিদ দিয়েই অহরহ এসব চাঁদাবাজি চলছে। এসব চাঁদার টাকা দিতে একরকম বাধ্য হচ্ছেন চালকরা।

খান জাহান আলী নিউজ প্রতিনিধির অনুসন্ধানে  শ্রমিকদের কাছ থেকে প্রাপ্ত তথ্যে জানা গেছে, যশোর সদরের বিভিন্ন স্পটে কাভার্ডভ্যান ও নসিমন-করিমন থেকে প্রতিদিন ২৪ ঘণ্টা চাঁদা আদায় করা হচ্ছে।  আর নসিমন ও করিমন প্রতি ১০ টাকা হারে দিতে হচ্ছে চালকদেরকে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন শ্রমিক নেতা জানান প্রতিনিয়ত হুমকির মধ্যে রয়েছেন এসব চালকরা। সড়কগুলো যেমন চলাচলের অনুপযোগী, তেমনি পথে পথে শ্রমিক, ক্ষমতাসীন দলের লোকজন আর পুলিশকে চাঁদা দিতে দিতে প্রাণ যাওয়ার মতোই। চাঁদা না দিলে গালিগালাজসহ শারীরিকভাবে নিগৃহীত হওয়ার ঘটনাও অহরহ ঘটে থাকে। তিনি বলেন, শ্রমিকরা ধরেই নিয়েছে, চাঁদা দেওয়া তাদের পেশার সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে রয়েছে।

এবিষয়ে যশোর কোতয়ালী মডেল থানার ওসি মনিরুজ্জামানের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, “যশোরের সড়কে সকল ধরনের চাঁদাবাজি (টোল আদায়) বন্ধ আছে। আমরা নিয়মিত খোজ খবর নিচ্ছি। কড়া নজরদারি উপেক্ষা করে এ ধরনের কার্যক্রমে জড়িত সবাইকে আইনের আওত্তায় আনা হবে।“

আরো সংবাদ