আজ - বৃহস্পতিবার, ২৬শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১১ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৪শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি, (শীতকাল), সময় - সকাল ৭:৪৩

শাহারুল ইসলামের আন্দোলন সংগ্রামের গৌরবউজ্জ্বল ইতিহাস।

আসন্ন আগামী ১৬ ই নভেম্বর যশোর সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের সম্মেলনকে সামনে রেখে যশোর জেলা আওয়ামীলীগের সদস্য, সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও আরবপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এবং আসন্ন সম্মেলনের সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী শাহারুল ইসলামকে নিয়ে আবারও একটি মহল ভিত্তিহীন সংবাদ প্রকাশ করেছে।

১৯৮৮ সালে বঙ্গবন্ধু’কে ভালোবেসে ও দেশরত্ন শেখ হাসিনা’র প্রতি আস্থা রেখে রাজনীতি শুরু করেন শাহারুল ইসলাম। যশোর সদর উপজেলার ১৫ টি ইউনিয়নের আওয়ামীলীগ নেতাকর্মীদের হৃদয় স্পন্দন এই শাহারুল ইসলাম দলকে সুসংগঠিত করতে ৩০ দিনের রিমান্ড খাঁটা এই চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে যশোরের একটি অনলাইন পত্রিকা উদ্দেশ্যপ্রনোদিত ভাবে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন সংবাদ প্রকাশের নিন্দা জানিয়েছেন তৃণমূলের নেতাকর্মীরা।

স্বাধীণ আলোর সংবাদে বলা হয়েছে , শাহারুল ইসলাম ২০০ কোটি টাকার মালিক এবং দলীয় পদ, কতিপয় নেতার আশীর্বাদ আর অস্ত্রের জোর তার আঙুল ফুলে কলা গাছ হওয়ার পথকে সুগম করেছে। এখানে শাহারুল ইসলামের অস্ত্রের জোরের কথা উল্লেখ করলেও সত্যটা হচ্ছে শাহারুল ইসলাম কখনই অস্ত্রধারী নেতৃত্ব পছন্দ করেন না এমনকি তিনি নিজ ইউনিয়নে মাদক সন্ত্রাসীর বিরুদ্ধে অবস্থান রাখেন। শাহারুল ইসলামের বিরুদ্ধে কোন অস্ত্রমামলা নেই।  বিগত বিএনপি জামাত ক্ষমতাকালে দলের দুর্দিনে দলের জন্য মোট ৩০ বারেরও বেশি জেল খাটা এই শাহারুল ইসলাম নিজের রাজনৈতিক দক্ষতা ও ত্যাগের বিনিময়ে আওয়ামীলীগের সদস্য, সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও আরবপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হয়েছেন।

স্বাধীন আলো বলছে, নিম্নবিত্ত পরিবারের সন্তান শাহারুল এখন শত বিঘা জমির মালিক যা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। চেয়ারম্যান শাহারুল ইসলামের পিতা শুকুর মোড়লের নামে ১৯৮৪ সালের জমি রেকর্ডে মোট ৩০ বিঘা জমির মধ্যে ওয়ারিশ সুত্রে তিনি মোট ১০ বিঘা জমির মালিক। যা পুরোপুরি পৌত্রিক সূত্রে পাওয়া।

সংবাদটিতে বলা হয়েছে  যশোর সদর উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম-আহবায়ক আরবপুর ইউনিয়নের বাসিন্দা শহিদুজ্জামান শহিদ স্বাক্ষরিত একটি অনুলিপি এরই মধ্যে প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার কাছে শাহারুলর কর্মকান্ডের ফিরিস্তি তুলে ধরে অভিযোগ দাখিল করেছেন। অভিযোগের অনুলিপি সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান ও সাংগঠনকি সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহামুদ স্বপনের কাছেও দেয়া হয়েছে।

সত্যটা হলো শাহারুল ইসলাম তৃণমূল আওয়ামীলীগের প্রাণভোমরা হওয়ায় একটি গ্রুপ যুবলীগের নেতাতের দিয়ে আওয়ামীলীগের নেতাদেরকে কলঙ্কিত করছে। এই যুবলীগ নেতা শহিদুজ্জামান শহিদ নিজেই ছুটিপুর থেকে ধর্মতলা পর্যন্ত মাদকের সিন্ডিকেট পরিচালনা করেন। শাহারুল ইসলামের মাদকবিরোধী বিভিন্ন কর্মসূচীতে শহিদের মাদক ব্যবসার ক্ষতি হতে পারে ভেবেই শাহারুল ইসলামকে নতুন নেতৃত্বে আসার আগেই প্রশ্নবৃদ্ধ করতে অপচেষ্টা চালাচ্ছেন তারা।  স্বাধীন আলো বলছে, শাহারুলের দাপটে বেকায়দায় থাকা আওয়ামী লীগ নেতারা এখন জোটবদ্ধ হচ্ছেন। কিন্তু  অনুলিপি স্বাক্ষর করছে যশোর সদর উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম-আহবায়ক আরবপুর ইউনিয়নের বাসিন্দা শহিদুজ্জামান শহিদ যা পুরোপুরি উদ্দেশ্য প্রনোদিত।

যুবলীগ নেতা শহিদুজ্জামান শহিদ বিষয়ে জানুন। – https://bit.ly/2Kkc6C3

স্বাধীন আলো সংবাদে উল্লেখ করেছে, শাহারুল ইসলামের বিরুদ্ধে ছাত্রলীগ নেতা দাদা রিপন হত্যা মামলায় চার্জশিট দেয়া হয়েছে।আর সম্প্রতি এক শিক্ষককে মারপিটের অভিযোগে আদালতে চার্জশিট দিয়েছে পুলিশ। দাদা রিপন হত্যা মামলায় রাজনৈতিক কারণেই শাহারুল ইসলামকে হুকুমের আসামি করে চার্জশিট দেয়া হয়েছে আর শিক্ষককে মারপিটের অভিযোগে আদালতে চার্জশিটকৃত মামলা নিষ্পত্তি হয়েছে অনেক আগেই।

বিস্তারিত জানুন – https://bit.ly/2O7St15

বলা হচ্ছে, উপজেলার আরবপুর, চাঁচড়া, দেয়াড়া ও চুড়ামনকাটি ইউনিয়নে অন্যের জমি জোরপূর্বক দখল করে নামমাত্র টাকায় লিখে নেন শাহারুল। ক্যারফা (জমির মালিকানা নিয়ে দ্বন্ধ) জমি প্রথমে ক্যাডারদের দিয়ে দখল করেন। তারপর কাগজপত্রে মালিক হন। এসব জমি দখলের কাজটি করেন তার একান্ত সহযোগী কলোনীপাড়ার এক সময়ের বিএনপি নেতা বাবুল হোসেন। এমন সংবাদে স্বাধীন আলো কোন জমির দাগ/খতিয়ান নম্বর বা জোরপূর্বক দখলকৃত জমির মালিকদের বক্তব্য তুলে ধরেনি যা প্রমান করে তথ্যগুলো সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। এছাড়াও বাবুল হোসেনের সাথে বি এন পির কোন সম্পৃক্ততার প্রমান দেখায়নি স্বাধীন আলো। বাবুল হোসেনের সাথে বি এন পির কোন সম্পৃক্ততা নেই।

সংবাদে উল্লেখ করা হয়েছে, জমির মতো অন্যের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান দখল করার অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে। শহরের ধর্মতলা এলাকায় একটি চায়ের দোকান, আরবপুরে কয়েকটি দোকান দখল করে নিয়েছেন। ধর্মতলার ইজিবাইক স্ট্যান্ড দখল করে প্রতিদিন অবৈধভাবে চাঁদা তুলছে তার সহযোগিরা। এছাড়া আরবপুরসহ আশপাশের কয়েকটি এলাকায় অর্ধশত মাদক ব্যবসায়ী ও চোরাকারবারীদের কাছ থেকে মাসোহারা পান শাহারুল। সবমিলে প্রতিমাসে প্রায় ৭০ লাখ টাকা আয় তার।এখানে বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান দখলের অভিযোগ করলেও কোন ভুক্তোভোগীর বক্তব্য তুলে ধরেনি স্বাধীন আলো। অনলাইন পত্রিকাটি উল্লেখ করেছেন মাদক ব্যবসায়ী ও চোরাকারবারীদের কাছ থেকে মাসোহারা বাবদ শাহারুল ইসলাম প্রতিমাসে প্রায় ৭০ লাখ টাকা আয় করেন। এমন নির্দিষ্ট টাকার অংক উল্লেখ করার মাধ্যমেই প্রমান হয় একটি চক্রের প্রতারণার স্বীকার চেয়ারম্যান শাহারুল ইসলাম, যেখানে তিনি নিজেই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে একাত্বতা প্রকাশ করে ইতিমধ্যেই মাদকের বিরুদ্ধে বিভিন্ন কর্মসূচী হাতে নিয়েছেন।

শাহারুল ইসলাম ১/১১ তেও দলের জন্য আন্দোলন করেছেন সামনের সারিতে। এমন কর্মদক্ষতা এবং দলের প্রতি ভালোবাসাবোধ,বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি শাহারুল ইসলামের ভালোবাসাবোধ পর্যবেক্ষন করেই প্রয়াত  জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি আলী রেজা রাজু শাহারুল ইসলামকে সাথে রাখতেন। তার নেতাসুলভ ব্যাক্তিত্বই তাকে যশোর সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য পদ পেতে সাহায্য করেছেন এবং তৃণমূলের ইচ্ছাতেই নিজ এলাকার মানুষের ভালোবাসায় তিনি আরবপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান।

সম্প্রতি প্রেসক্লাব যশোরে সংবাদ সম্মেলন করে ইউপি সদস্য তরিকুল ইসলাম দাবি করেন, চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব নিয়ে অনিয়ম শুরু করেন শাহারুল। কোন ইউপি সদস্য তার বিপক্ষে কথা বলতে পারেন না। রাজস্ব বা উন্নয়ন খাত সব টাকাই তিনি নিজের মতো করে খরচ করেন। অধিকাংশ কাজেই হয় অনিয়ম। প্রতিবাদ করায় তরিকুলকে পরিষদেই ঢুকতে দেয়া হচ্ছে না। এখন তরিকুলের স্বাক্ষর জাল করে তার সম্মানীর ভাতাও তুলে নিচ্ছেন চেয়ারম্যান। বিধাব ভাতা, বয়স্ক ভাতা, প্রতিবন্ধী ভাতাসহ বিভিন্ন সরকারি সেবা প্রদানের ক্ষেত্রেও রয়েছে অবাক হওয়ার মতো সব ঘটনা। এসব মিথ্যা ও ভিত্তিহীন উদ্দেশ্যমুলক ভাবে করা সংবাদ সম্মেলনের প্রতিবাদে ঐ দিনই যশোর প্রেস ক্লাবে ইউপি সদস্য  তরিকুল ইসলামের মিথ্যা তথ্যের প্রতিবাদে পাল্টা সংবাদ সম্মেলন করেন আরবপুর ইউনিয়নের ইউপি সদস্যরা।

বিস্তারিত দেখুন –https://bit.ly/2QgpPOe

সর্বোপরি যশোর সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের তৃণমূলের প্রাণভোমরা শাহারুল ইসলাম এই আওয়ামী লীগ এর জন্য উজাড় করে দিয়েছেন সবকিছু। গ্রাম-গঞ্জের পা ফাটা, গা ফাটা মানুষের দুঃসময়ের সাহারা এই শাহারুল ইসলাম।
যশোর সদর উপজেলা আওয়ামী পরিবারের ১৫ ইউনিয়নের মানুষকে ভালো রাখতে হলে তৃণমূলের এই শাহারুল ইসলামকে প্রয়োজন। আসন্ন সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের সম্মেলনকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন মহল মিথ্যা, ভিত্তিহীন, অযোক্তিক সংবাদ প্রকাশের চেষ্টা করছে যা উদ্দেশ্যপ্রনোদিত।

আরো সংবাদ