বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ছাত্র আবরার ফাহাদ রাব্বী হত্যা মামলায় আজ আদালতে চার্জশিট দাখিল করা হয়েছে।
এ হত্যা মামলায় ২৫ জনকে অভিযুক্ত করে আজ বুধবার আদালতে চার্জশিট দাখিল করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা ও অপরাধতথ্য বিভাগ (দক্ষিণ)।
অভিযুক্ত ২৫ জনের মধ্যে এজাহারভূক্ত ১৯ জন এবং তদন্তের পর এ হত্যাকান্ডের সঙ্গে জড়িত আরও ৬ জনের নাম বেরিয়ে আসে। এরমধ্যে এজাহারভূক্ত ১৯ জনের মধ্যে ১৬ জন ও এজাহার বহির্ভূত ৬ জনের মধ্যে ৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে ৮ জন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে।
গ্রেফতারকৃতরা হলো, মেহেদী হাসান রাসেল, মোঃ অনিক সরকার, ইফতি মোশাররফ সকাল, মোঃ মেহেদী হাসান রবিন, মোঃ মেফতাহুল ইসলাম জিওন, মুনতাসির আলম জেমি, খন্দকার তাবাখখারুল ইসলাম তানভির, মোঃ মুজাহিদুর রহমান, মুহতাসিম ফুয়াদ, মোঃ মনিরুজ্জামান মনির, মোঃ আকাশ হোসেন, হোসেন মোহাম্মদ তোহা, মাজেদুর রহমান, শামীম বিল্লাহ, মোয়াজ আবু হুরায়রা, এ এস এম নাজমুস সাদাত, ইসতিয়াক আহম্মেদ মুন্না, অমিত সাহা, মোঃ মিজানুর রহমান ওরফে মিজান, শামসুল আরেফিন রাফাত ও এস এম মাহমুদ সেতু।
পলাতক আসামিরা হলো, মোর্শেদুজ্জামান জিসান, এহতেশামুল রাব্বি তানিম, মোর্শেদ অমত্য ইসলাম ও মোস্তবা রাফিদ ।
আজ দুপুরে ডিএমপি’র মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে ডিএমপি’র অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (সিটিটিসি) মোঃ মনিরুল ইসলাম এসব তথ্য জানান।
মনিরুল ইসলাম জানান, ৬ অক্টোবর দিবাগত রাতে বুয়েট শেরে বাংলা হলে বুয়েটের ছাত্র আবরার ফাহাদ রাব্বীকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। ৭ অক্টোবর এই হত্যার ঘটনায় ভিকটিমের পিতা বাদী হয়ে রাজধানীর চকবাজার থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। হত্যা মামলা দায়েরের পর ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ফুটেজ, তথ্য প্রযুক্তি বিশ্লেষণ, প্রত্যক্ষদর্শী ও অন্যান্য সাক্ষ্য প্রমানাদি বিশ্লেষণে এই হত্যাকান্ডে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে ২৫ জনের সম্পৃক্ততা পাওয়া যায়। এদের মধ্যে হলের ২০১১ নম্বর কক্ষে ১১ জন সরাসরি আবরারকে মারধরে অংশগ্রহণ করে এবং ঘটনাস্থলে উপস্থিতি ও অন্যান্য ভূমিকায় ১৪ জনের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেছে।
তিনি বলেন, এ মামলা তদন্তকালে ৩১ জনের সাক্ষ্য ও জবানবন্দি গ্রহণ করা হয়েছে।