আজ - বৃহস্পতিবার, ২৬শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১১ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৪শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি, (শীতকাল), সময় - রাত ১০:৩১

আমরাই পরিকল্পিত ভাবে টুইন টাওয়ারে হামলা করেছি- গোয়েন্দা এজেন্টে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : নিউ জার্সির হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাওয়ার পর বেশ কিছু চাঞ্চল্যকর বিষয়ে মন্তব্য করলেন প্রাক্তন সিআইএ এজেন্ট ম্যালকম হাবার্ট ৷ জীবনের শেষ মুহূর্তে দাঁড়িয়ে থাকা হাবার্ট বলেন, তার কাছে সময় বেশি নেই এবং তিনি স্বীকারোক্তি দিতে চান যে, ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারে হামলার ষড়যন্ত্রে তারা জড়িত ছিলেন ৷
প্রাক্তন এই এজেন্ট সিআইএতে একজন অপারেটর হিসাবে বহুবছর কাজ করেছেন ৷ সিভিল ইঞ্জিনিয়ার হিসাবে ৮০-র দশকের শুরুতে সিআইএতে যোগ দিয়েছিলেন হাবার্ট ৷

তিনি নিজের স্বীকারোক্তিতে বলেন ১৯৯৭ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত সিআইএর সঞ্চালনা কমিটিতে তিনি কর্মাধীন ছিলেন ৷ তিনি ৪জন অপারেটরের বিশেষ দলের অংশ ছিলেন, যারা কি না এই ঘটনা সফল হয়েছে বলে সুনিশ্চিত করেছিলেন ৷  হাবার্ড আরও বলেন, ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টার ধ্বংসের ঘটনা তার জীবনের সবচেয়ে অভিনব ঘটনা ৷ তার কথায় তিনি একজন সত্যিকারের দেশভক্ত ৷ তাই সিআইএ অথবা হোয়াইট হাউজের যেকোন সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে কখনও কোনো প্রশ্ন করেন নি ৷ কিন্তু এখন তার মনে হয় সেদিন এমন কিছু ঘটেছিল যা কি না, একদমই ঠিক ছিল না ৷

তিনি জানান, ‘এই হামলা ছিলো পরিকল্পনা মাফিক ৷ আমরা বিস্ফোরক হিসাবে ন্যানোথমাইন্ড যৌগিক পদার্থের ব্যবহার করেছিলাম ৷’
এই হামলার প্ল্যান মাত্র এক মাসের মধ্যেই করা হয়েছিল বলেও জানান তিনি ৷ বিল্ডিং এর অধিকাংশ কার্যালয় সিআইএ, সিক্রেট সার্ভিস ও সেনা কর্মীদের ভাড়ায় দেওয়া ছিল ৷ এই ঘরগুলি নিজেদের লোকেদের অধীনে থাকায় এই ষড়যন্ত্র খুব সহজেই সমাধা করা যায় বলেও মন্তব্য করেন তিনি ৷
উল্লেখ্য ২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারে ভয়াবহ বিমান হামলা চালানো হয় ৷ সে সময় ইসলামি সন্ত্রাসবাদীদের কার্যকলাপ বলে দেশজুড়ে ইসলামের বিরূদ্ধে ব্যাপক প্রচারনা চালানো হয়েছিল ৷

হাবার্ড জানানা, এই হামলা পরিকল্পনা মাফিক হওয়ায় বিল্ডিং ভেঙে পড়ায় মাত্র ৬ হাজার জন আহত ও ২৯৯৬ জন নিহত হয়েছিলেন ৷ সিআইএ অফিসের কেউই সেদিন দুঃখী ছিলেন না ৷ সবাই এই বিল্ডিং ভেঙে পড়ার ভিডিওটি বারবার রিপ্লে দেখছিলেন ৷ অফিসের সবাই এই বিল্ডিং ভেঙে পড়ায় আনন্দে মত্ত ছিলেন বলেও জানান প্রাক্তন ওই সিআইএ এজেন্ট ৷

আরো সংবাদ