আজ - রবিবার, ২৪শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৯ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২২শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি, (হেমন্তকাল), সময় - রাত ২:৪৭

আমাকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দিচ্ছে : ডাকসু ভিপি।

ওয়ালিউল হাসনাত: ক্ষমতাসীন দলের কাছ থেকে প্রতিনিয়ত হুমকির সম্মুখীন হচ্ছেন বলে অভিযোগ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সহসভাপতি (ভিপি) নুরুল হক নুর বলেছেন, আমি কোনো অন্যায় বা অপরাধ করিনি। শুধু অন্যায়-অনিয়মের প্রতিবাদ করার কারণেই আমি ও আমার সংগঠনের নেতা-কর্মীরা বারবার ক্ষমতাসীন দলের রোষানলের শিকার হয়েছি। ক্ষমতাসীন দলের নেতা ছাড়াও সরকারের গোয়েন্দা সংস্থার লোকদের কাছ থেকে প্রতিনিয়ত হুমকির সম্মুখীন হচ্ছি। তারা সরকারের বিরোধিতা না করার জন্য আমাদের বারবার হুমকি দিচ্ছে। তারা এমনকি প্রাণে মেরে ফেলারও হুমকি দিচ্ছে।
সোমবার দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যানটিনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি। গত বুধবার পটুয়াখালীর গলাচিপা থেকে দশমিনা এলাকায় যাওয়ার পথে উলানিয়া বাজারে হামলার শিকার হন নুর। এ বিষয়ে নিজের বক্তব্য জানাতেই এই সংবাদ সম্মেলন ডাকেন তিনি।
পটুয়াখালীতে হামলার বিষয়ে নুর বলেন, স্থানীয় সংসদ সদস্য এসএম শাহজাদা সাজু এবং চাঁদাবাজ ও মাদক ব্যবসায়ী গলাচিপা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শাহীন শাহর নেতৃত্বে তার ভাই নূরে আলমসহ লিটু পেদা, আব্বাস পেদা, পৌর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মাইনুল ইসলাম রনো, উপজেলা শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক, উলানিয়া যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শাকিল, যুবলীগ নেতা ইদ্রিস, উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক আহ্বায়ক ফরিদ আহসান কচিন ও বর্তমান সাধারণ সম্পাদক শরীফ আহমেদ আসিফ, ছাত্রলীগ নেতা জাহিদসহ আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ ও যুবলীগের শতাধিক নেতা-কর্মী আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে রড, স্টিলের চেইন ও চাপাতি নিয়ে আমার ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। হামলায় আমিসহ ২০ থেকে ২৫ জন আহত হন, যাদের মধ্যে চার-পাঁচজনের অবস্থা গুরুতর ছিল। সন্ত্রাসীরা শুধু হামলা করেই ক্ষান্ত হয়নি, চিকিৎসার মতো মৌলিক সেবা থেকেও আমাদের বঞ্চিত করেছে। কোনো মিডিয়াকে ফুটেজ নেওয়ার জন্য হাসপাতালে যেতে দেয়নি। কোনো রকম চিকিৎসা না দিয়ে জোর করে তাঁরা আমাকে বাড়ি পাঠিয়ে দেয়। গলাচিপা হাসপাতালে অবস্থানকালেও তারা আমার পরিবার, আত্মীয়স্বজন ও সমর্থকদের গ্রেফতারের হুমকি দিয়েছে।
তিনি জানান, হামলাকালে তাদের ১০টি মোটরসাইকেল ভাঙচুর, দুটি ডিএসএলআর ক্যামেরা এবং ৮৯ হাজার টাকা ছিনতাই করা হয়েছে।

আরো সংবাদ
যশোর জেলা
ফেসবুক পেজ
সর্বাধিক পঠিত