আজ - মঙ্গলবার, ২৪শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৯ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২২শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি, (শীতকাল), সময় - রাত ১০:৫৬

আমার অজান্তে অনিক দুইটি বিয়ে করেছে : শাবনূর।

বিনোদন ডেস্ক।। সাত বছরের সংসার জীবনকে গত ২৬ জানুয়ারি তালাক নোটিশের মাধ্যমে বিদায় দিয়েছেন বাংলা চলচ্চিত্রের তুমুল জনপ্রিয় নায়িকা শাবনূর। তাদের বিচ্ছেদের পরেই সামনে আসতে থাকে নতুন সব তথ্য। এবার জানা গেলো শাবনূরের প্রাক্তন স্বামী অনিক মাহমুদ শাবনূরসহ মোট তিনটি বিয়ে করেছেন।

শাবনূর জানান, অনিক আমার অজান্তেই আরো দুই’টি বিয়ে করেছে। একটি আমাকে বিয়ের আগে, অন্যটি আমাকে বিয়ের পর।

তবে অভিনেত্রীর এমন বক্তব্যের পরে অনিক সব কথাকে মিথ্যা বলে দাবি করেন। শুধু এখানেই থেমে থাকেননি, তিনি শাবনূরকে চ্যালেঞ্জও করেছেন। বলেন, দ্বিতীয় বিয়ের প্রমাণ না দিতে পারলে শাবনূরকে মাফ চাইতে হবে।

শাবনূর বলেন, ২০০৮ সালে ‘বধূ তুমি কার’ ছবিতে কাজ করতে গিয়ে অনিকের সঙ্গে পরিচয়। তখন থেকেই বিবাহিত ছিলো সে। নানা প্রলোভন ও ব্ল্যাকমেইল করে আমাকে বিয়ে করার আগে মৌরি ইসলাম মৌ নামে একটি মেয়েকে বিয়ে করেছিল। বিষয়টি আমি জেনে গেলে বিপদে পড়ার আশঙ্কায় মৌকে সে ভয় দেখিয়ে তালাক দেয়।

তিনি আরো বলেন, আমাকে বিয়ের পরও সে আয়েশা নামের আরেকটি মেয়েকে বিয়ে করেন। আয়েশা ইভেন্ট ম্যানেজমেন্টের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। এটা আমার মুখের কথা নয়। এ তথ্যের প্রমাণ দেবে অনিকের পাসপোর্ট। সেখানে তার স্ত্রী হিসেবে আয়েশার নাম রয়েছে, আমার নয়। কথা হলো কে এই আয়েশা? বিয়ে না করলে তার নাম অনিকের স্ত্রী হিসেবে পাসপোর্টে থাকে কী করে? এক স্ত্রী বর্তমান থাকতে আরেকটি বিয়ে কী বেআইনি ও শাস্তিযোগ্য অপরাধ নয়?

তারপরও সন্তানের দিকে তাকিয়ে কিছু বলিনি অনিককে। একজন নারী হিসেবে সব চেষ্টাই করেছি সংসার টিকিয়ে রাখতে। কিন্তু অনিক সেটা হতে দেয়নি।

স্বামীর সঙ্গে বনিবনা না হওয়ায় গত ২৬ জানুয়ারি অনিককে তালাক দেন শাবনূর। নায়িকার সই করা নোটিশটি অ্যাডভোকেট কাওসার আহমেদের মাধ্যমে গত ৪ ফেব্রুয়ারি অনিকের উত্তরা এবং গাজীপুরের বাসার ঠিকানায় পাঠানো হয়েছে। শাবনূরের পাঠানো তালাক নোটিশের অনুলিপি তার স্বামী অনিকের এলাকার আইন ও সালিশ কেন্দ্রের চেয়ারম্যান এবং কাজি অফিস বরাবরও পাঠানো হয়েছে। এ তালাক নোটিশে সাক্ষী রয়েছেন মো. নুরুল ইসলাম ও শামীম আহম্মদ নামে দুজন। আইনগতভাবে ৯০ দিন পর তাদের এ তালাক কার্যকর হবে।

আরো সংবাদ