আজ - শুক্রবার, ২২শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২০শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি, (হেমন্তকাল), সময় - রাত ৯:৩১

ইফতার থেকে ফেরার পথে যুবককে কুপিয়ে হত্যা

এলাকার আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে নরসিংদীর শিবপুরে নাঈম (২২) নামে এক যুবকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। সোমবার (১১ এপ্রিল) রাতে শিবপুর কলেজ গেট মোড়ে এ ঘটনা ঘটে। ওই সময় টুটুল নামে আরও একজন আহত হন। গুরুতর আহত অবস্থায় টুটুলকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। হত্যাকাণ্ডের শিকার নাঈম শেখ স্থানীয় রাসেল শিশু-কিশোর স্মৃতি সংসদের পৌর সভাপতি ছিলেন।

স্থানীয়রা জানান, এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে নাঈম ও ধানুয়া গ্রামের আলী গ্রুপের দ্বন্দ্ব চলছিল। এর জের ধরে ইতোপূর্বে দুই গ্রুপের মধ্যে একাধিকবার ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনাও ঘটে। এরই মধ্যে শিবপুর পাইলট স্কুলে নাঈম গ্রুপের ইফতার ছিল। ওই সময় নাঈম ও তার সমর্থকরা প্রতিপক্ষের আলী গ্রুপের আলীকে ধাওয়া দেয়। এরই জের ধরে আলী ও তার সমর্থকরা নাঈমকে খুঁজে শহীদ আসাদ কলেজ গেট এলাকায় অপেক্ষা করতে থাকে। রাত সাড়ে ৮টার দিকে নাঈম ইফতার শেষে বাড়ি ফেরার পথে আলীর সমর্থকরা তাকে ঘিরে ফেলে। ওই সময় আলীর অনুসারীরা নাঈমকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করে। এ সময় নাঈমের সঙ্গে থাকা টুটুল বাধা দিলে তাকেও এলোপাতাড়িভাবে কোপানো হয়। পরে তাদের চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এলে আলী ও তার অনুসারীরা পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে প্রথমে শিবপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও পরে নরসিংদী জেলা হাসপাতালে নিয়ে আসে। সেখানে আনার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক নাঈমকে মৃত ঘোষণা করেন। আশঙ্কাজনক অবস্থায় টুটুলকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়। খবর পেয়ে শিবপুর মডেল থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।

নিহতের মামা বলেন, সংঘর্ষের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে দেখি আমার ভাগ্নেকে কুপিয়ে ফেলে রাখা হয়েছে। আমি এ হত্যাকাণ্ডের বিচার চাই।

নাঈমের বন্ধু ইয়াসিন বলেন, ‘আমরা ইফতার শেষে বাড়ি ফেরার পথে আলী ও তার সমর্থকরা আমাদের ওপর দুই দিক থেকে হামলা করে। তারা এলোপাতাড়িভাবে কোপাতে থাকে। এ সময় নাঈম ঘটনাস্থলেই মারা যায়।

নরসিংদীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সাহেব আলী পাঠান বলেন, এলাকায় আধিপত্য নিয়ে হত্যাকাণ্ড সংগঠিত হওয়ার খবর পেয়েছি। ঘটনার পর পরই অভিযুক্তদের গ্রেফতারে পুলিশ তৎপর রয়েছে বলে জানান তিনি।

আরো সংবাদ
যশোর জেলা
ফেসবুক পেজ
সর্বাধিক পঠিত