আজ - রবিবার, ২৪শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৯ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২২শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি, (হেমন্তকাল), সময় - সন্ধ্যা ৭:০৯

ইয়াবা সহ আটক যুবক, মামলা করলো এসআই এর বিরুদ্ধে।

গিফট বক্সে ইয়াবা দিয়ে আটক ও ৩০ লাখ টাকা চাঁদাদাবির অভিযোগে দুই পুলিশ কর্মকর্তা ও এক নারীর বিরুদ্ধে যশোর আদালতে মামলা হয়েছে। বুধবার যশোর সদরের চুড়ামনকাটি গ্রামের ইমরান হোসেনের ছেলে গোলাম রব্বানী বাদী হয়ে এ মামলা করেছেন। সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট গোলাম কিবরিয়া অভিযোগের তদন্ত করে সিআইডি পুলিশকে প্রতিবেদন জমা দেয়ার আদেশ দিয়েছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাদীর আইনজীবী মিজানুর রহমান মিজান।

আসামিরা হলো, কোতয়ালি থানার এএসআই টমাস মন্ডল, এএসআই মোমিনুল হক ও মণিরামপুরের জামলা গ্রামের সুলতান গাজীর মেয়ে আরোহী ইসলাম আফরিন ওরফে রাবেয়া খাতুন।

মামলার অভিযোগে জানা গেছে, গোলাম রব্বানী খুলনা বিশ^বিদ্যালয়ে এমবিএ’র ছাত্র। একই সাথে তিনি বেঙ্গল সিমেন্টে রিজিওনাল সেলস ম্যানেজার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। চলতি বছরের ১৯ জানুয়ারি আসামি রাবেয়া খাতুন ফেসবুকে ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট ও ম্যাসেঞ্জারে ম্যাসেজ পাঠায় ও কল দেয়। গোলাম রব্বানী সেদিন ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট ও কল রিসিভ করেনি। এরপর গোলাম রব্বানীর অফিসিয়াল ফোনে হোয়াটঅ্যাপসে কল দেয় রাবেয়া খাতুন। কথাবার্তার একপর্যায়ে রাবেয়া খাতুন নিজেকে যশোর এমএম কলেজের ফিন্যান্স এন্ড ব্যাংকিংয়ে মাস্টার্সের ছাত্রী হিসেবে পরিচয় দেয়। খুলনা বিশ^বিদ্যালয়ে ভর্তি হবে বলে পরামর্শের জন্য যোগাযোগ করেছে বলে জানায়। গোলাম রব্বানীর বাড়ি যশোর হওয়ায় ও অফিসের কাজে মাঝে মধ্যে যশোর আসতো। গত ১৩ ফেব্রুয়ারি গোলাম রব্বানী যশোর আসবে বলে আসামি রাবেয়া খাতুনকে জানালে সে দেখা করতে চায়। এদিন সকাল সোয়া ১০টার দিকে গোলাম রব্বানী দড়াটানা ব্রিজের উপর আসলে আসামি রাবেয়া খাতুন নিজেকে আফরিন পরিচয় দিয়ে কথা বলে। কফি খাওয়ার প্রস্তাব দিলে রাবেয়া খাতুন মায়ের অসুস্থতার কথা বলে একটি ফুলের তোড়া ও একটি র‌্যাপিং করা গিফট বক্স হাতে ধরিয়ে দেয়। বক্সে ঘড়ি আছে বলে দ্রুত ফিরে আসছে বলে চলে যায়। কিছুক্ষণ পর গোলাম রব্বানীকে হোয়টঅ্যাপসে কল করে দড়াটানা হাসপাতালে দিকে আসতে বলে রাবেয়া খাতুন। গোলাম রব্বানী দড়াটানা হাসপাতালে সামনে এসে পৌঁছালে অপরিচিত দুইজন গতিরোধ করে নিজেদের পুলিশ পরিচয়ে তাদের সাথে নিয়ে যায়। পাশের মসজিদের সামনে নিয়ে গেলে সেখানে আসামি রাবেয়া খাতুন আগে উপস্থিত ছিল। এ সময় আসামিরা গোলাম রব্বানীর কাছে ৩০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। টাকা দিতে অস্বীকার করায় ওই দুই পুলিশ সদস্য সংবাদ দিয়ে থানা থেকে আরও কয়েকজন পুলিশকে ডেকে নিয়ে আসে। এরপর আসামি এএসআই মোমিনুল হক তার কাধে ঝুলানো ল্যাপটপের ব্যাগ থেকে রাবেয়ার দেয়া গিফট বক্স বের করে এবং খুলে ২শ’ পিস ইয়াবা বের করে। এ ঘটনায় মামলা দিয়ে গোলাম রব্বানীকে আসামিরা কারাগারে পাঠায়। পরে জামিনে মুক্তি পাওয়ার পর পিতার অসুস্থতার জন্য আসামিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা সম্ভব হয়নি। বর্তমানে পরিবেশ অনুকূলে আসায় তিনি আদালতে এ মামলা করেছেন।

আরো সংবাদ