আজ - মঙ্গলবার, ২৪শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৯ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২২শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি, (শীতকাল), সময় - রাত ১:৩১

ঈদে যশোরে কোয়ারেন্টিনে থাকা যাত্রীদের জন্য ছিল বিশেষ খাবার

ভারত থেকে ফেরা দেবাশীষ ব্যানার্জি দম্পতি ৬ দিন ধরে যশোর শহরের ম্যাগপাই আবাসিক হোটেলে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে আছেন। হোটেলের কর্মচারীদের দিয়ে প্রতিদিনের তিনবেলার খাবার তাঁরা বাইরের রেস্তোরাঁ থেকে আনান। তবে আজ শুক্রবার ঈদের দিন বাইরে থেকে খাবার কিনতে হয়নি তাঁদের। যশোর জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাঁদের উন্নত মানের সকালের নাশতা ও দুপুরের খাবারের প্যাকেট দেওয়া হয়েছে।

শুধু ম্যাগপাই হোটেলে না, যশোর শহরের অন্তত ১৬টি আবাসিক হোটেলে কোয়ারেন্টিনে থাকা ৪৮২ জনকে বিনা মূল্যে খাবার সরবরাহ করা হয়েছে।
দেবশীষ ব্যানার্জি যশোরের বাঘারপাড়া উপজেলার বাসিন্দা। তিনি বলেন, ‘স্ত্রীর চিকিৎসার জন্যে ভারতে গিয়েছিলাম। ৯ মে বেনাপোল ইমিগ্রেশন দিয়ে দেশে প্রবেশ করে ১৪ দিনের বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টিনে আছি। অন্যান্য দিন বাইরে থেকে খাবার কিনে খেয়েছি। ঈদ উপলক্ষে আজ সকালে পরোটা, ডিম ভাজি, রান্না সেমাই এবং দুপুরে পোলাও, মাংস, ডিম, ডালের প্যাকেট দেওয়া হয়েছে।’

জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, দায়িত্বে থাকা একজন সহকারী কমিশনার ঈদের দিন সকাল ও দুপুরে গাড়িতে করে কোয়ারেন্টিনে থাকা যাত্রী এবং হোটেলের কর্মচারীদের জন্য খাবার পৌঁছে দেন। হোটেলের কর্মচারীরা সরকারি কর্মকর্তার কাছ থেকে খাবার বুঝে নেন।

এদিকে বেনাপোলের বিভিন্ন হোটেলে কোয়ারেন্টিনে থাকা যাত্রীদের খাবার স্থানীয় সংসদ, পৌরসভার মেয়র ও হোটেলের মালিকেরা সরবরাহ করেন। এ ছাড়া ঝিকরগাছা উপজেলার গাজীর দরগা মাদ্রাসায় থাকা যাত্রীদের খাবার দেন চৌগাছা উপজেলার একজন বিশিষ্ট ব্যবসায়ী।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে যশোরের জেলা প্রশাসক তমিজুল ইসলাম খান বলেন, ‘কোয়ারেন্টিনের কারণে ঈদের দিনেও মানুষকে হোটেলে আটকে রাখতে হয়েছে। তাঁদের একটু স্বস্তি দেওয়ার জন্যই আমরা উন্নত মানের খাবার দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছি। এ উদ্যোগে জেলা প্রশাসনের পাশাপাশি স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও ব্যবসায়ীরা এগিয়ে এসেছেন।’

এদিকে শুক্রবার আরও ৯১ জন ছাড়পত্র নিয়ে বাড়িতে ফিরে গেছেন। তাঁদের মধ্যে যশোর শহরের হোটেল থেকে ৫৫ জন, বেনাপোলের হোটেল থেকে ২৪ ও গাজীর দরগাহ কুয়েত ইসলামিক ইয়াতীম কমপ্লেক্স কোয়ারেন্টিন সেন্টার থেকে গেছেন ১২ জন।

আরো সংবাদ