আজ - রবিবার, ২২শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৭ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২০শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি, (শীতকাল), সময় - সন্ধ্যা ৭:২৫

এইচএসসির ফল ২৮ জানুয়ারির মধ্যে

সংসদের আসন্ন অধিবেশনে শুরুর দিকেই আইনের সংশোধন করে সর্বোচ্চ ২৮ জানুয়ারির মধ্যে উচ্চমাধ্যমিক (এইচএসসি) ও সমমানের পরীক্ষার্থীদের মূল্যায়নের ফল ঘোষণার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। আজ সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত হয়।

বৈঠক শেষে সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে সভার সিদ্ধান্ত জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম। তিনি বলেন, আর মাত্র ছয় দিন পরে জাতীয় সংসদের অধিবেশন বসছে। এ জন্য মন্ত্রিসভা সিদ্ধান্ত নিয়েছে, এখন এটি অধ্যাদেশ না করে সরাসরি ওই অধিবেশনের শুরুতে বিলটি উত্থাপন করে পাস করার ব্যবস্থা করা হবে। এরপর ২৫, ২৬ বড়জোর ২৮ জানুয়ারির মধ্যে এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের মূল্যায়নের ফল ঘোষণা করা হবে।

এইচএসসি পরীক্ষার ফল পেয়ে নানাভাবে শিক্ষার্থীরা উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন
এইচএসসি পরীক্ষার ফল পেয়ে নানাভাবে শিক্ষার্থীরা উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন

এবার করোনাভাইরাসের কারণে বিদায়ী বছরে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়নি। এর পরিবর্তে জেএসসি ও এসএসসি এবং সমমানের পরীক্ষার গড় ফলের ভিত্তিতে এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের মূল্যায়নের সিদ্ধান্ত হয়। মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের নিয়ম অনুযায়ী পরীক্ষার ভিত্তিতে এসএসসি ও এইচএসসি পাস করা শিক্ষার্থীদের সনদ দেওয়া হয়। কিন্তু এবার পরীক্ষা ছাড়াই কাজটি করতে হচ্ছে, সে জন্য আইনি জটিলতা দেখা দেয়।

২৫, ২৬ বড়জোর ২৮ জানুয়ারির মধ্যে এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের মূল্যায়নের ফল ঘোষণা করা হবে

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, এইচএসসির ফলাফল তৈরি আছে। এ জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয় অর্ডিন্যান্সের প্রস্তাব নিয়ে এসেছিল। কিন্তু মন্ত্রিসভা আসন্ন সংসদে উত্থাপনের জন্য ভেটিংসহ এটি অনুমোদন দিয়েছে।

২৫, ২৬ বড়জোর ২৮ জানুয়ারির মধ্যে এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের মূল্যায়নের ফল ঘোষণা করা হবে
২৫, ২৬ বড়জোর ২৮ জানুয়ারির মধ্যে এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের মূল্যায়নের ফল ঘোষণা করা হবে

দেশের ১১টি শিক্ষা বোর্ডের ১৩ লাখ ৬৫ হাজার ৭৮৯ জন শিক্ষার্থীর এবার এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার কথা ছিল। পরীক্ষা শুরু হওয়ার কথা ছিল ২০২০ সালের ১ এপ্রিল থেকে। কিন্তু করোনাভাইসের প্রকোপ বাড়তে শুরু করলে ১৭ মার্চ থেকে দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়া হয়। দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর গত বছরের ৭ অক্টোবর সংবাদ সম্মেলন করে শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি জানান, পঞ্চম ও অষ্টমের সমাপনীর মতো এইচএসসি পরীক্ষাও এবার নেওয়া যাচ্ছে না। তিনি বলেছিলেন, অষ্টম শ্রেণীর সমাপনী এবং এসএসসির ফলাফলের গড় করে এবারের এইচএসসির ফল নির্ধারণ করা হবে। জেএসসি-জেডিসির ফলাফলকে ২৫ এবং এসএসসির ফলকে ৭৫ শতাংশ বিবেচনায় নিয়ে উচ্চ মাধ্যমিকের ফল ঘোষিত হবে।

পরে ডিসেম্বরের শেষে এসে শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি বলেছিলেন, যেহেতু পরীক্ষা নেওয়া যায়নি, সেহেতু আইন সংশোধন করে অধ্যাদেশ জারির মাধ্যমে নতুন বছরের শুরুতে এইচএসসির ফল প্রকাশ করা যায় কি না, সেই চেষ্টা তারা করছেন।

আরো সংবাদ