বিয়ে হলো একটি সামাজিক বন্ধন বা বৈধ চুক্তি যার মাধ্যমে নারী-পুরুষের দাম্পত্য সম্পর্ক স্থাপিত হয়। বিভিন্ন দেশে সংস্কৃতিভেদে বিয়ের সংজ্ঞার তারতম্য থাকলেও সাধারণভাবে বিয়ে এমন এক বন্ধন যার মাধ্যমে ঘনিষ্ঠ ও যৌন সম্পর্ক সামাজিক স্বীকৃতি লাভ করে। কেউ একটা বিয়ে করেন, আবার কেউ করেন একাধিক।
বাংলা চলচ্চিত্র জগতে ‘মহানায়ক’ এক সময় বলেছিলেন, একটি নিয়েই গলদঘর্ম ডিউ পার্টেতে নেইকো লোভ। মধ্যবিত্ত বাঙালির হয়ে এ উচ্চারণ করেছিলেন তিনি। কিন্তু সাধারণ মধ্যবিত্তের একাধিক স্ত্রী নিয়ে আগ্রহ না থাকলেও সবাই তেমন হবেন এ কথা ভাবার অর্থ নেই। আফ্রিকার দেশ কঙ্গোয় এক যুবকের দেখা মিলেছে, যিনি একসঙ্গে তিন বোনকে বিয়ে করে ফেলেছেন। এ আশ্চর্য প্রেমকাহিনি ও তিন কনের কোলে দুলতে থাকা হাস্যমুখ বরের ছবি ভাইরাল হয়ে গেছে।
ব্রিটিশ গণমাধ্যম দ্য মিরর ও ভারতীয় গণমাধ্যম সংবাদ প্রতিদিনের খবরে বলা হয়, ওই যুবকের নাম লুবিজো। ৩২ বছরের যুবক বিয়ে করেছেন তিন বোন নাতাশা, নাতেলি ও নাদেগিকে। কী করে ঘটল এমন? প্রথমে পরিচয় হয়েছিল নাতেলির সঙ্গে। সোশ্যাল মিডিয়ায় হওয়া আলাপ ক্রমেই গড়ায় প্রেমে। এই পর্যন্ত ব্যাপারটা একেবারেই চেনা চেনা প্রেমকাহিনির মতোই। কিন্তু এরপরই ‘কাহানি মে টুইস্ট’। একসঙ্গে তিন বোনের সঙ্গেই অচিরে সম্পর্ক গড়ে ওঠে লুবিজোর।এরপরই তিন বোন শর্ত দেন। বিয়ে করলে তিনজনকেই বিয়ে করতে হবে। অগত্যা, রাজি হয়ে যান লুবিজো। ব্যাপারটা যে অদ্ভুত তা একবাক্যে মেনে নিচ্ছেন তিনি। জানাচ্ছেন, আমার মা-বাবা এখনও বিশ্বাস করে উঠতে পারেননি ব্যাপারটা কী হলো।
কিন্তু লুবিজোর বিস্ময় না হয় বোঝা গেল। ওই তিন বোন কী করে রাজি হলেন একজনকেই বিয়ে করতে? এ প্রসঙ্গে তাদের জবাব জবাব, ছোটবেলা থেকেই সব কিছু শেয়ার করে এসেছেন তারা। তাই এবারও শেয়ার করতে কোনো সমস্যা হয়নি তাদের। তিনজনই জোর গলায় জানিয়েছেন, লুবিজোকে পেয়ে তারা খুশি।
যে কোনো রূপকথাই শেষ হয় তারপর তারা মহাসুখে বাস করতে লাগল একথা জানিয়ে। লুবিজো ও তার স্ত্রীর গল্প অবশ্য সত্য ঘটনা। দিনে দিনে বাড়তে থাকা দাম্পত্য কলহ ও ডিভোর্সের ভিড়ে তিনজন নারীর সঙ্গে এক পুরুষের সুখী সংসারের এ গল্প রূপকথার মতোই দীর্ঘজীবী হোক, এমনটাই চাইছেন সবাই।