আজ - শনিবার, ২৩শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২১শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি, (হেমন্তকাল), সময় - রাত ৮:৪২

এমপি হয়েও রেড পাসপোর্ট, গাড়ী, বাড়ী কিছুই নেননি মাশরাফি।

স্টাফ রিপোর্টার।। খেলোয়াড় মাশরাফিকে বাংলাদেশের মানুষ চেনেন ২০০১ সাল থেকে। দেশসেরা পেসার, নড়াইল এক্সপ্রেস, সফলতম অধিনায়ক- এসব পরিচয়ই ছিল তার নামের পাশে। ২০১৯ সাল থেকে যুক্ত হয়েছে নতুন এক পদবি।

ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের হয়ে জিতেছেন জাতীয় নির্বাচনে। নিজ এলাকা নড়াইল-২ আসন থেকে হয়েছেন সংসদ সদস্য। তবে নতুন এ পরিচয়ে এখনও সেভাবে আত্মপ্রকাশ করেননি মাশরাফি। তবু রাজনীতিতে নাম লেখানোর পর থেকেই কিছু মানুষের চক্ষুশূলে পরিণত হয়েছেন তিনি।

যাদের বেশিরভাগেরই ভাষ্য, বাংলাদেশের নোংরা রাজনীতিতে নাম লেখানোর সিদ্ধান্তটা ভালো হয়নি মাশরাফির। তিনি ব্যক্তি হিসেবে যত ভালোই হোন না কেন, রাজনীতির কালো থাবায় তার ব্যক্তিত্বের আঘাত লাগবে বলে মনে করেন তারা। তবে মাশরাফি নিজে অবশ্য শুরু থেকেই জানিয়েছেন, তিনি রাজনীতি করতে এসেছেন শুধু নিজের এলাকার উন্নতির জন্য, এর বাইরে কোনো চাওয়া পাওয়া নেই তার।

এ কারণেই সংসদ সদস্যপদ পাওয়ার প্রায় এক বছর পরও বাড়তি কোনো সুবিধা তিনি নেননি। সংসদ সদস্য হিসেবে যে বিশেষ লাল পাসপোর্ট কিংবা আলাদা গাড়ি অথবা বাড়ি- তার কিছুই নেননি মাশরাফি। এর পেছনের কারণটাও আজ তিনি জানান সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে অধিনায়কত্ব ছাড়ার ঘোষণা দেয়ার পর।

প্রশ্ন করা হয়েছিল, বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক হিসেবে দেশের সর্বোচ্চ পর্যায়ের লোকের মর্যাদা আপনারা পান। রাষ্ট্রীয় একটা সম্মান থাকে এটা কতটা মিস করবেন?

উত্তরে মাশরাফি বলেন, ‘আমি আসলে যখন খেলোয়াড় হিসেবে শুরু করেছি তখনও এটা ফিল করিনি। যখন অধিনায়ক হয়েছি তখনও এটা মনে করিনি। আবার এখন আমার তো আরেকটা পরিচয় আমি সংসদ সদস্য, সেটাও আমি ফিল করিনি। কারণ লাল পাসপোর্ট নেইনি, আমি গাড়ি নেইনি, বাড়ি নেইনি- কিছুই নেইনি। সো আমি আসলে এসব থেকে সবসময় দূরে থাকতেই পছন্দ করেছি।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমি অধিনায়ক হওয়ার আগ পর্যন্ত আমার সম্ভাব্য সবকিছুই কিন্তু ছিল এই চেয়ারকে ঘিরে। যে আমি যত ভালো করব বা যত কিছুই করবো এই চেয়ারটা ধীরে ধীরে কাছে আসতে থাকবে। যখনই আমি চেয়ারটা পেলাম তখনই ওটা শেষ লেখা হয়ে গেছে। তখন এই চেয়ার পাওয়ার কিন্তু আমার আর আকাঙ্ক্ষা নেই। চেয়ারটার সর্বোচ্চ প্রয়োগ করা উচিত আমার ইতিবাচকভাবে। এমন নয় যে এ প্রভাবটাকে অন্যভাবে ব্যবহার করবো- আমি জিনিসটাকে এভাবেই দেখি।’

আরো সংবাদ
যশোর জেলা
ফেসবুক পেজ
সর্বাধিক পঠিত