কুষ্টিয়া প্রতিনিধি,
কুষ্টিয়ার মিরপুরে শিশুকে যৌন নির্যাতনের মামলায় তার সৎবাবাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। দীর্ঘ স্বাক্ষ্য ও শুনানী শেষে আদালতে সন্দেহাতীত ভাবে অভিযোগটি প্রমানিত হওয়ায় আদালত ধর্ষক মনিরুল ইসলামকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমানার রায় ঘোষণা করেন। রায় ঘোষণার পর মনিরুলকে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। যাবজ্জীবন সাজার রায় পাওয়া লম্পট ঐ সৎ বাবার নাম মনিরুল ইসলাম। রায় ঘোষণার সময় তিনি আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
আজ বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ১ম আদালতের বিচারক রেজা মো. আলমগীর হোসেন এ রায় ঘোষণা করেন।
আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০১৬ সালের ২৬শে আগষ্ট বিকেলে কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার বাজিতপুর দাড়ীয়ার মাঠে ঐ শিশুটির সৎ বাবা মনিরুল ইসলাম ধর্ষণ করে শিশুটিকে রক্তাক্ত অবস্থায় ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা শিশুটিকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন।
এঘটনায় শিশুটির প্রকৃত পিতা সাইফুল ইসলাম বাদী হয়ে মিরপুর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন। মামলাটি তদন্ত শেষে আদালতে চুড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করে পুলিশ।
রাষ্ট্র পক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন কুষ্টিয়া আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) অ্যাডভোকেট অনুপ কুমার নন্দী । এ্যাডঃ অনুপ কুমার নন্দী জানান, ২০১৬ সালের ২৬ আগস্ট খড়ি কুড়ানোর নাম করে নয় বছর বয়সী ওই শিশুকে বাড়ির পাশে একটি বাগানে নিয়ে যান তার সৎবাবা মনিরুল ইসলাম। সেখানে তিনি শিশুটির ওপর যৌন নির্যাতন চালিয়ে পালিয়ে যান মনিরুল। পরে স্থানীয় লোকজন শিশুটিকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন। ঘটনার পরেরদিন ওই শিশুর বাবা বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা করেন। শুনানি শেষে অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় আসামি মনিরুল ইসলামকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দেন আদালত।