আজ - সোমবার, ২৩শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৮ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২১শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি, (শীতকাল), সময় - বিকাল ৩:৫১

ক্যালকুলেটর কিনতে গিয়ে হাম*লার শিকার ৩ এসএসসি পরীক্ষার্থী

লক্ষ্মীপুরে ৩ এসএসি পরীক্ষার্থীর ওপর হামলা চালিয়ে কুপিয়ে ও পিটিয়ে আহত করা হয়েছে। সোমবার (৫ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় জেলা শহরের উত্তর তেমুহনী পেট্রল পাম্পের সামনে এ ঘটনা ঘটে।

আহতরা হলেন- আজিজুল হাকিম ইকরাম, মো. সাফায়েত ও শাহরিয়ার মজিদ অভি। তারা পশ্চিম লক্ষ্মীপুর এলাকার বাসিন্দা ও লক্ষ্মীপুর পৌর শহীদ স্মৃতি একাডেমির এসএসসি পরীক্ষার্থী।এ ঘটনায় রাত ৯টার দিকে আহত সাফায়েতের মা ফারজানা আক্তার লক্ষ্মীপুর সদর মডেল থানায় এ ঘটনায় ৬ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত ১২ জনের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেন।

অভিযুক্তরা হলেন- মো. প্রহর, মো. রাফি, সামি মুনতাসিম, মো. অন্তর, কারজু, অর্পন ও অজ্ঞাত ১২ জন। তারা পৌরসভার বাঞ্ছানগরসহ বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দা। তারা স্থানীয় ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত।প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, হামলাকারীরা উত্তর তেমুহনী এলাকায় আড্ডা দেয়। তারা ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। পদ-পদবী না থাকলেও তারা নিজেদের জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সাইফুল ইসলাম রকির অনুসারী হিসেবে পরিচিত।

অভিযোগ সূত্র জানায়, ঘটনার সময় ব্যাটারিচালিত অটোরিকশাযোগে ইকরাম, সাফায়েত ও অভি ক্যালকুলেটর কেনার জন্য ঘটনাস্থল আসে। এতে রিকশা থেকে নামার পরই হামলাকারীদের কেউ একজন তাদেরকে ডাক দেয়৷ এসময় কিছু বুঝে ওঠার আগেই অভিযুক্তরা তাদের ওপর হামলা করে। একপর্যায়ে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে ও ধারালো দেশীয় অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে তাদের মাথা, পা ও হাতসহ শরীরের বিভিন্ন অংশে রক্তাক্ত জখম করা হয়। পরে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এলে হামলারীরা পালিয়ে যায়৷ আহত অবস্থায় তিনজনকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।আহত মো. সাফায়েত বলেন, হামলাকারীদের কাউকে আমরা ব্যক্তিগতভাবে চিনি না। ঘটনাস্থল এসে রিকশা থেকে নামার পর তাদের একজন আমাদের ডাক দেয়। কিছু বুঝে ওঠার আগেই তারা আমাদের ওপর হামলা করে। তাদের হাতে থাকা ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে ও জিআই পাইপ দিয়ে আমাদের এলোপাতাড়ি পেটানো হয়।

অভিযোগকারী ফারজানা আক্তার বলেন, পূর্ব পরিকল্পিতভাবে আমার ছেলে ও তার বন্ধুদের ওপর হামলা করা হয়েছে। ঘটনাস্থলে খোঁজ নিয়ে জানতে পেরেছি তারা ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত৷ স্থানীয়ভাবে তারা কিশোর গ্যাং তৈরি করে বিভিন্ন অপকর্ম করে আসছে।

জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সাইফুল ইসলাম রকি বলেন, কে বা কারা ঘটনাটি ঘটিয়েছে তা আমি জানি না। যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে তাদেরকেও চিনি না। তারা ছাত্রলীগের কেউ নয়।

লক্ষ্মীপুর সদর মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মমিনুল হক বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। তদন্তের জন্য একজন কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তদন্তপূর্বক প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আরো সংবাদ