বুধবার বেলার পক্ষ থেকে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট সাঈদ আহমেদ কবীর এ নোটিস দেন। নোটিসে আগামী সাত দিনের মধ্যে বিবাদী পক্ষকে জবাব দিতে বলা হয়েছে।
নোটিসপ্রাপ্ত অন্যরা হলেন, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, খুলনা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান, জেলা প্রশাসক, পরিবেশ অধিদপ্তর খুলনা বিভাগীয় পরিচালক, দীঘি ভরাট কাজের সঙ্গে সম্পৃক্ত খালিশপুর হাউজিং এস্টেটের মো. জাকির হোসেন মৃধা ও মুজগুন্নী এলাকার শেখ মারুফ হোসেন। নোটিসে উল্লেখ করা হয়, খুলনা সিটি কর্পোরেশনের আওতাধীন নয় নম্বর ওয়ার্ডে মুজগুন্নী-খালিশপুর এলাকায় মুজগুন্নী মৌজায় (সিএস-৪৪২, আরএস ২১৩০ ও ৫০৪৭) ঐতিহ্যবাহী খানজাহান আলী দীঘিটি অবস্থিত। এলাকার পানি নিষ্কাশনের অন্যতম আধার হিসেবে এই দীঘিটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাছাড়া সুপেয় পানির সংকট থাকায় এলাকার নিম্নবিত্ত পরিবার দৈনন্দিন গৃহস্থলী কাজে এই দীঘির পানি ব্যবহার করে থাকে। বৃষ্টির পানি সংরক্ষণ এবং জলাবদ্ধতা নিরসনে দীঘিটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। নোটিসে আরো উল্লেখ করা হয়, ২০১৫ সাল থেকে কতিপয় স্বার্থাণ্বেষী ব্যক্তি এই দীঘিটি ভরাট করার অপপ্রয়াস শুরু করে। ওই সময় এলাকাবাসী আন্দোলন শুরু করেন। যে কারণে পরিবেশ অধিদপ্তর অভিযুক্ত ব্যক্তিদের বিরূদ্ধে নিষেধাজ্ঞা নোটিস প্রদান করলে সাময়িকভাবে ভরাটের কাজ বন্ধ হয়ে যায়। সম্প্রতি ওই স্বার্থাণ্বেষী ব্যক্তিরা আবার দীঘি ভরাটের উদ্যোগ নিয়েছে।
বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি (বেলা) খুলনার সমন্বয়কারী মাহফুজুর রহমান মুকুল বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘বুধবারই সংশ্লিষ্টদের বরাবর নোটিসটি পাঠানো হয়েছে। নোটিসের মাধ্যমে সংশ্লিষ্টদের গৃহীত পদক্ষেপ আগামী সাত দিনের মধ্যে বেলা বরাবর অবহিত করার অনুরোধ করা হয়েছে। সেই সঙ্গে দীঘিটি অপরিবর্তিত রেখে তা সংরক্ষণের দাবি জানানো হয়েছে। না হলে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’