আজ - শনিবার, ২৩শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২১শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি, (হেমন্তকাল), সময় - রাত ১:৫৩

খানাখন্দে মৃত্যুফাঁদ কুষ্টিয়া ঝিনাইদহ মহাসড়ক

কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহ মহাসড়ক, দুই লেনের এবং যানবাহনের অত্যধিক চাপের কারণে মহাসড়কটি বেশ ধীরগতির। বিশেষ করে বেনাপোল, দর্শনা স্থলবন্দর থেকে উত্তরবঙ্গগামী ট্রাক, লরির চাপ সবচেয়ে বেশি থাকে। আর স্থানীয়ভাবে তৈরি ধীরগতির নসিমন, ভটভটি, লাটাহাম্বার, ব্যাটারিচালিত থ্রি হুইলার, হিউম্যান হলারের (মাহিন্দ্রা) চলাচলে বরাবরই এ মহাসড়কটি মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ থাকে। কিন্তু আশার বিষয় মহাসড়কটিকে প্রশস্তকরণের উদ্যোগ হাতে নেয়া হয়েছে। আর সেই উদ্যোগই কাল হয়েছে এই মহাসড়ক ব্যবহারকারীদের। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কিলোমিটারের পর কিলোমিটার রাস্তা খুঁড়ে রেখে দীর্ঘদিন ধরে লাপাত্তা। বেশ কিছুদিন আগে বৃষ্টিপাত হলে খুঁড়ে রাখা অংশে বড় বড় খানাখন্দ তৈরি হয়। তারপর থেকে ধুলোর স্বর্গরাজ্যে পরিণত হয়েছে এই মহাসড়ক। এখানে সেখানে ট্রাক, বাস বিকল হয়ে আটকে থাকছে প্রতিনিয়ত। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কোনো কর্মী কিংবা যন্ত্রপাতির দেখা পাওয়া ভার রাস্তার খুঁড়ে রাখা অংশে। মেরামত যেন দূর আকাশের তারা। রাস্তায় পানি ছিটিয়ে দিলে এই ধুলো কম হতো, সেখানে অপ্রতুল ব্যবস্থাপনার দরুন একদিকে ছিটিয়ে অন্যদিকে আসতে আসতে যেই ধুলো সেই রয়ে যায়। ধুলোর কারণে সামনে দেখতে না পেয়ে ব্যাহত হচ্ছে গাড়ি চলাচল। প্রতিনিয়ত ঝুঁকি মাথায় নিয়ে গাড়ি চালাচ্ছেন চালকরা। এদিকে সবচেয়ে বেশি বিপাকে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। অত্র বিশ্ববিদ্যালয়টির অধিকাংশ শিক্ষার্থীদের আবাসন দুটো শহরকেন্দ্রিক হওয়ায় এবং বর্তমানে নিয়মিত ক্লাস পরীক্ষা চালু হওয়ায় নিয়মিত আপডাউন যাতায়াত করতে হচ্ছে। আগের চেয়ে সময়ও বেশি লাগছে। যেখানে ক্যাম্পাস থেকে কুষ্টিয়া যেতে সর্বোচ্চ ৪০ মিনিট সময় লাগত, সেখানে ঘণ্টারও বেশি সময় লাগছে। যাতে করে মূল্যবান সময় নষ্ট হচ্ছে প্রতিনিয়ত। প্রচণ্ড ঝাঁকুনি আর ধুলা-ময়লার অত্যাচার নিয়মিত পিষ্ট করছে শিক্ষার্থীসহ আশপাশের এলাকার মানুষের চলাচল। নিত্যদিন এমন চলাচলে ক্লান্ত পরিশ্রান্ত হয়ে পড়ছেন শিক্ষার্থীরা। পাশাপাশি ক্যাম্পাসের বাসগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে এই খানাখন্দভরা রাস্তায় চলাচল করে। সংশ্লিষ্ট দুটো জেলা কুষ্টিয়া এবং ঝিনাইদহের জেলা প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি মহাসড়কটির মেরামত এবং যাত্রী সাধারণের দুর্ভোগ লাঘবে শিগগিরই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার জন্য।

আরো সংবাদ
যশোর জেলা
ফেসবুক পেজ
সর্বাধিক পঠিত