আজ - শনিবার, ২৩শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২১শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি, (হেমন্তকাল), সময় - দুপুর ১২:৫৪

খুমেক ল্যাবে মেশিনে সক্ষমতার বেশী নমুনা জমা॥ হিমশিম খাচ্ছে কর্তৃপক্ষ

খুলনা মেডিকেল কলেজের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের পিসিআর ল্যাবে করোনা ভাইরাস সন্দেহভাজনদের নমুনার স্তুপ জমে গেছে। মেশিনে সক্ষমতার বেশী নমুনা জমা হওয়ায় পরীক্ষায় হিমশিম খাচ্ছে কর্তৃপক্ষ। ফলে আরও একটি মেশিন বসানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রশাসন।
সূত্রমতে, এখানে একদিনে করোনা পরীক্ষার সর্বোচ্চ ক্ষমতা ১৯২টি। তবে নমুনা আসছে প্রতিদিন গড়ে ৩ শতাধিক। কয়েকদিনে দেড় হাজারেরও বেশী নমুনা জমে গেছে। ফলে রিপোর্ট পেতে বিলম্ব হচ্ছে সাধারণ মানুষের।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, খুমেকের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের পিসিআর মেশিনে একদিনে করোনা পরীক্ষার সর্বোচ্চ ক্ষমতা ১৯২টি। গত ৭ এপ্রিল থেকে শুরু হয়ে মঙ্গলবার পর্যন্ত খুমেকের ল্যাবে পরীক্ষা হয়েছে সাড়ে ৮ হাজার,যা দিনের হিসাবে প্রতিদিন দেড়শ’র কাছাকাছি।
খুলনা মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ আব্দুল আহাদ জানান, মঙ্গলবার পর্যন্ত দেড় হাজারের বেশি নমুনা পরীক্ষা হওয়ার অপেক্ষায় আছে, ল্যাবের সর্বোচ্চ সক্ষমতা দিয়ে টেস্ট করলেও তা শেষ হতে অন্তত ৭ দিন লাগবে। এর মধ্যে যদি আরও বেশী নমুনা আসে তাহলে স্বাভাবিকভাবেই একজন রোগীর নমুনা নেয়ার পর ৫ দিনের বেশি সময় লাগবে রিপোর্ট দিতে। এতে করোনা রোগী শনাক্তে বিলম্ব হবে।
গত দুই দিনের রিপোর্ট পর্যালোচনা করে দেখা যায়, গত দুইদিনে পিসিআর ল্যাব থেকে যে রিপোর্টগুলো প্রকাশিত হয়েছে তার অধিকাংশ স্যাম্পলই ৫ থেকে ৭ দিন আগে নেয়া। নগরীর সাউথ সেন্ট্রাল রোডের তাসলিমা বেগম, পূর্ব বানিয়াখামার এলাকার বাসিন্দা মাসুম বিল্লাহ নমুনা দিয়েছিলেন ১ জুন, রিপোর্ট পেয়েছেন ৮ জুন। বয়রার আব্দুল আজিজ নমুনা দিয়েছিলেন ৩ জুন, রিপোর্ট পেয়েছেন ৯ জুন। ফুলতলা এলাকার সুমন সানা নমুনা দিয়েছেন ৩০ মে, রিপোর্ট পেয়েছেন ৮ জুন। এছাড়া বেশিরভাগ নমুনা শহরের বাসিন্দাদের ৩ থেকে চারদিন আর জেলার বাসিন্দাদের গড়ে ৫ দিন এবং জেলার বাইরের রিপোর্টগুলো প্রায় ৭ দিন পরে প্রকাশিত হচ্ছে।
খুমেকের সহকারী অধ্যাপক ডাঃ এস.এম তুষার আলম বলেন, “আমরা এখন আইসোলেশনে থাকা রোগীদের প্রতিদিনের রিপোর্ট সেদিনই দেয়ার এবং সরকারি চাকুরিজীবীদের খুলনা সিভিল সার্জন অফিসের মাধ্যমে নমুনা সংগ্রহ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এতে নমুনা সংগ্রহে হয়তো শৃঙ্খলা ফিরবে”। এছাড়াও পার্শ^বর্তি জেলাগুলোতে আলাদা ল্যাব স্থাপন অথবা খুমেকের ল্যাবে অতিরিক্ত একটি মেশিন সরবরাহ করতে না পারলে কোনভাবে এই সংকট কাটিয়ে উঠা যাবে না বলে মন্তব্য করেন তিনি।

আরো সংবাদ
যশোর জেলা
ফেসবুক পেজ
সর্বাধিক পঠিত