আজ - শনিবার, ২৩শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২১শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি, (হেমন্তকাল), সময় - দুপুর ১:২৯

চৌগাছায় মানবতার অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন ব্যবসায়ী জসীমউদ্দীন দম্পতি।

চৌগাছা (যশোর) প্রতিনিধি।। যশোরের চৌগাছায় মানুষের ঘরে ঘরে খাবার পৌছে দিয়ে মানবতার দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন জসিম উদ্দিন ও তার পরিবার। কর্মহীন, অসহায় মানুষদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে খাবার দিচ্ছেন তিনি ও তার পরিবার। করোনায় ঘর বন্দি মানুষদের খাবার পৌছে দিতে নিজের সামর্থ অনুযায়ী কোন কার্পণ্য করেননি তিনি। তিনি জানান, চৌগাছার একটি মানুষও না খেয়ে থাকবে না ইনশাল্লাহ। খবর দিলেই খাবার নিয়ে পৌঁছে যাবো আমি ও আমার পরিবার। খেটে খাওয়া মানুষগুলোর কাছে শুধু অনুরোধ নিজেকে বাঁচাতে, পরিবার সমাজ এবং মানুষকে বাঁচাতে ঘরে থাকুন। সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করুন। সরকারের সকল নিয়ম মেনে চলুন।
করোনাভাইরাস থেকে সচেতন করতে এভাবেই রাতদিন সমানতালে ব্যস্ত সময় পার করছেন ব্যবসায়ী জসীম উদ্দীন, সহধর্মিণী ফারহানা ইসলাম, বড় ছেলে অন্তু ইয়ামিম ও ছোট ছেলে ঊষান তামিম।


তিনি বলেন, দেশে পুরোপুরি লকডাউন ঘোষণা না করলেও করোনা ভাইরাসের বিস্তার রোধে বর্তমান সরকার সামাজিক দূরত্ব অবস্থান ও মানুষকে ঘরের বাইরে না আসার জন্য নির্দেশ দিয়েছে। এ নির্দেশ মেনে চলার আহবান জানান তিনি।

জসিম উদ্দিন ও তার পরিবার এ পর্যন্ত উপজেলার ২ হাজার একশ’ পরিবারকে খাবার সহায়তা দিয়েছেন। চৌগাছা উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাদেরসহ চিকিৎসক , নার্স ও সাংবাদিকদের মাঝে ১৫০ সেট পার্সোনাল প্রোটেকটিভ ইকুইপমেন্ট বা ব্যক্তিগত সুরক্ষা সরঞ্জাম (পিপিই), ১০০টি হেলমেট, ১০০টি চশমা, এক হাজার মাস্ক দিয়েছেন। জনগণকে সচেতন করতে উপজেলায় ১০ হাজার লিফলেট বিতরণ করেছেন। পাশাপাশি নগদ অর্থ সহায়তা অব্যাহত রয়েছে।


ব্যবসায়ী জসীম উদ্দীনের সহধর্মিণী ফারহানা ইসলাম বলেন, প্রতিটি পরিবারের জন্য ব্যক্তিগত তহবিল থেকে চাল, ডাল, আলু, তেল, লবণ, সাবান, হ্যান্ড স্যানিটাইজারসহ নিত্য প্রয়োজনীয় ভোগ্যপণ্য পৌঁছে দিচ্ছেন তারা।
বিশিষ্ট ব্যবসায়ী জসীম উদ্দীন বলেন, চৌগাছায় আমার নাড়ি পোতা। এই উপজেলায় আমার শৈশব, কৈশর ও যৌবন কেটেছে। এখানকার মানুষের সাথে আমার নাড়ির সম্পর্ক। এ উপজেলার একজন কর্মহীন মানুষকেও না খেয়ে থাকতে দেয়া হবে না। করোনা ভইরাস একটি বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ। এটি মোকাবেলা করতে সবাইকে এক সঙ্গে কাজ করতে হবে। করোনা ভাইরাসের এই আপদকালে বিশেষ করে যারা খেটে খাওয়া মানুষ আছেন, তারা এই ঝুঁকিপূর্ণ সময়টা ঘরের বাইরে যাবেন না। এই সময়ে আমি ও আমার পরিবার আপনাদের বাড়ি বাড়ি খাবার পৌঁছে দেবো। আমাকে শুধু জানালেই আমি ও আমার পরিবার পৌছে যাব।
একই সাথে তিনি সমাজের বিত্তবান মানুষদেরকে এ দুর্যোগে সামার্থ অনুযায়ী এগিয়ে আসার আহবান জানান।

আরো সংবাদ
যশোর জেলা
ফেসবুক পেজ
সর্বাধিক পঠিত