জমি লিখে না দেয়ায় বাবাকে ঘরে আটকে ঘন্টাব্যাপী পিটিয়ে হাত ভেঙে দিয়েছে দুই ছেলে। রোববার রাতে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার নবীননগর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
গুরুতর আহত ইয়াকুব মালিথা ওই এলাকার সাবেদার মালিথার ছেলে। তাকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, সড়ক দুর্ঘটনায় বৃদ্ধ ইয়াকুব মালিথার দুই পা ভেঙে যায়। টানা দুই মাস তিনি চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। গতকাল রোববারই হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়ে বিকেলে নিজ বাড়িতে ফেরেন।
স্থানীয় ইউপি সদস্য ওহিদুল ইসলাম জানান, বাড়ি ফেরার কিছুক্ষণ পরই দুই ছেলে জাহিরুল ও সাদিমান জমিজমা নিজেদের নামে লিখে দিতে স্ট্যাম্পে স্বাক্ষরের জন্য চাপ দেয়। এতে অস্বীকৃতি জানালে ঘরের মধ্যে বাবাকে আটকে ঘণ্টাব্যাপী কাঠ দিয়ে বেধড়ক পিটিয়ে জখম করেন দুই ছেলে। এতে একটি হাত ভেঙে যায় ইয়াকুব মালিতার।
জমি নিয়ে বাবাকে নির্মম মারধরের ঘটনার খবরে গোটা এলাকায় নিন্দার ঝড় ওঠে।স্থানীয়রা জানান, ইয়াকুব মালিথার চার স্ত্রী। চতুর্থ স্ত্রী ও তার ছেলেকে নিয়ে তিনি বসবাস করে আসছেন। ২ মাস চিকিৎসা শেষে রোববার বাড়ি আসার পর প্রথম পক্ষের স্ত্রীর দুই ছেলে স্ট্যাম্প নিয়ে জমিজমা ও বসতবাড়ি লিখে দিতে বলেন বাবাকে। বৃদ্ধ ইয়াকুব তখন জমি দিতে অস্বীকৃতি জানালে তর্কবিতর্কের সৃষ্টি হয়।
পরে দুই ছেলে জাহিরুল ও সাদিমান একটি ঘরে বাবা ইয়াকুব মালিতার হাত-পা বেঁধে নির্যাতন করে। পরে তার চিৎকারে প্রতিবেশীরা ছুটে এসে উদ্ধার করে তাকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন।
ইয়াকুব মালিথা জানান, নিজেকে ওই দুই ছেলের বাবা বলে পরিচয় দিতেও ঘৃণা করছে আমার। যাদের কষ্ট করে মানুষ করেছি; তারাই আজ সম্পত্তি লিখে না দেয়ায় নির্মম নির্যাতন করেছে।
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক সোহানা আহমেদ বলেন, ইয়াকুব মালিতার অবস্থা শঙ্কামুক্ত। তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখমের চিহৃ আছে। এছাড়াও ডান হাত ভেঙে গেছে।
চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ওসি আবু জিহাদ ফকরুল আলম খান বলেন, ঘটনাটি শুনেছি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করব।
সূত্র : রাতদিন নিউজ