আজ - শনিবার, ২৩শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২১শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি, (হেমন্তকাল), সময় - বিকাল ৩:১৪

জমিজমা বিরোধে জেরেই চাচা মগর আলী হত্যা ভাতিজার স্বীকারুক্তি

যশোরের বেনাপোলে জমিজমা বিরোধে পারিবারিক কলহের জের ধরে আপন ভাতিজা হারুন গংয়ের হাতে প্রভাবশালী আওয়ামী লীগ নেতা মগর আলী খুন হয়েছেন। কিন্তু এ হত্যাকাণ্ডকে পুঁজি করে সরকারি দল ধ্বংসের মিশন নিয়ে মাঠে নেমেছে জামায়াত-বিএনপির প্রেতাত্মারা। তারা হাইব্রিড আওয়ামী লীগের ঘাড়ে ভর করে সদা হাস্যউজ্জাল মিষ্টভাষী কাগমারি ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মগর আলী হত্যাকান্ডের প্রকৃত ঘটনা আড়াল করতে উদোর পিন্ডি বুধোর ঘাড়ে চাপানোর চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ করেছেন বেনাপোল পৌর আওয়ামী লীগসহ সকল সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা।

তারা বলেন, স্থানীয় একটি কুচক্রীমহল মগর আলী হত্যাকাণ্ডকে তাদের রাজনীতির হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে জামায়াত-বিএনপির এজেন্ডা বাস্তবায়ন করতে আওয়ামী লীগ ধ্বংসের মহাযজ্ঞে লিপ্ত রয়েছে। ইতোমধ্যে হারুনের স্বীকারোক্তিতেই প্রমাণ মিলেছে রাজনৈতিক নয়, জমিজমা নিয়ে পারিবারিক দ্বন্দের জেরে মগর আলী খুন হয়েছে।

মগর আলী হত্যার ঘটনায় নিহতের আপন ভাতিজা হারুন আলীকে আসামি করে ১০ জনের নামেসহ অজ্ঞাত ১০/১২ জনের নামে বেনাপোল পোর্ট থানায় একটি মামলা হয়েছে। মামলা নম্বর ২৭। যার বাদি হয়েছেন নির্মমভাবে হত্যার শিকার মগর আলীর ছেলে হোসেন আলী। এ মামলায় হারুণ ও শামছুর রহমানকে আটক করেছে পুুলিশ। হারুন চাচা মগর আলীকে হত্যা করার কথা স্বীকার করে মঙ্গলবার যশোর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে জবানবন্দি দিয়েছে। সে জানিয়েছে, হত্যার সাথে সেসহ তার পিতা আরব আলী, ছেলে সোহেল জড়িত। জমিজমা বিরোধের জের ধরে এ হত্যার ঘটনা ঘটেছে।

অথচ এ মামলায় প্রকৃত স্বার্থান্বেষী খুনী চক্রসহ এলাকার কিছু নির্দোষ বর্ষীয়াণ আওয়ামী লীগ নেতাদের নাম জড়িয়ে মামলা দেওয়া হয়েছে। জামায়াত-বিএনপির এজেন্ডা বাস্তবায়ন করতে এলাকার কতিপয় হাইব্রিড আওয়ামী লীগ নেতা নামধারি মগর আলীর পরিবারের অসহায়ত্বের সুযোগ নিয়ে তাদের পাশে থাকার মিথ্যা প্রলোভন দেখিয়ে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের নামে মামলা করিয়েছে। তারা সুযোগ সন্ধানী বলে অভিযোগ করেছেন স্থানীয় আওয়ামী লীগ।

বেনাপোল পোর্ট থানায় মগর আলীর ছেলে হোসেন আলীর এজাহার সূত্রে জানাযায়, মগর আলীর সাথে তার ভাই আরব আলী ও ভাতিজা হারুন আলী গংয়ের সাথে জমিজমা নিয়ে পূর্ব শত্রুতা চলে আসছিল। হঠাৎ গত শনিবার (১৬ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৭টার সময় প্রতিদিনের ন্যায় তার পিতা মগর আলী ইফতারি শেষে বাজার হতে বাড়ি ফেরার পথিমধ্যে পোর্ট থানাধীন কাগমারি গ্রামস্থ রেললাইন সংলগ্ন আবুল হোসেনের লেদের দোকানের সামনে পাকা রাস্তার উপর পৌছালে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে পথরোধ করে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজসহ মারপিট শুরু করে তার ভাতিজা হারুন গং। এসময় হারুন পূর্বপরিকল্পিতভাবে তার হাতে থাকা লোহার বাটালি দিয়ে পেটের বামপাশে আঘাত করে গুরুতর কাটা রক্তাক্ত জখম করে। মাটিতে পড়ে গেলে তার সাথে থাকা অন্যান্যরা হত্যার উদ্দেশ্যে তাদের হাতে থাকা চাকু দিয়ে ঘাড়ে ও পিঠে আঘাত করে গুরুতর কাটা রক্তাক্ত জখম করে এবং লোহার রড ও লাঠিসোঠা দিয়ে এলোপাতাড়ি মারপিট করে।

আরো সংবাদ
যশোর জেলা
ফেসবুক পেজ
সর্বাধিক পঠিত