শার্শার কায়বা বাইকোলা ওসমানিয়া দাখিল মাদ্রাসায় জাল সার্টিফিকেটে নিয়োগের অভিযোগে সাবেক দুই সভাপতিসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে যশোর আদালতে মামলা হয়েছে। মঙ্গলবার শার্শার কায়বা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান রহুল কুদ্দুস বাদী হয়ে এ মামলা করেছেন। সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট গোলাম কিবরিয়া অভিযোগে তদন্ত করে সিআইডিকে প্রতিবেদন জমা দেয়ার আদেশ দিয়েছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাদীর আইনজীবী রুহিন বালুজ।
আসামিরা হলেন, শার্শার কায়বা বাইকোলা ওসমানিয়া দাখিল মাদ্রাসার সাবেক সভাপতি আব্দুল ওয়াদুদ, হাসান ফিরোজ আহম্মেদ, সহকারী সুপার ফজলুল হক, সহকারী মৌলভী মেহেদী হাসান, সহকারী কৃষি শিক্ষক জাকির হোসেন, পরিচ্ছন্ন কর্মী আব্দুল হান্নান ও আয়া ফাতেমা খাতুন।
মামলার অভিযোগে জানা গেছে, রুহুল কুদ্দুস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে ২০১১ সালের ৮ আগস্ট থেকে ২০১৬ সালের ৮ আগস্ট পর্যন্ত সুনামের সাথে দায়িত্ব পালন করেছেন। কায়বা বাইকোলা ওসমানিয়া দাখিল মাদ্রাসা তার ইউনিয়নে অবস্থিত হওয়ায় ভিজিটের সময় তিনি দেখতে পান আসামিরা একে অপরের সহযোগিতায় জাল সার্টিফিকেট দিয়ে চাকরিতে যোগদান করেছেন। এ বিষয়ে সভাপতিকে পদক্ষেপ গ্রহণ করতে বললে তিনি কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি। এ নিয়ে আসামিদের সাথে বাদীর দীর্ঘ দিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। গত ১৪ ফেব্রুয়ারি সাক্ষী লিটনের মধ্যস্থতায় বিরোধ মীমাংসার জন্য সকলে সালিশে বসেন। এ সময় আসামিরা সাবেক চেয়ারম্যান রুহুল কুদ্দুসকে ১ লাখ দেয়ার প্রস্তাব করেন। টাকা নিতে রাজি না হওয়ায় আসামিরা তাকে খুন-জখম করবে বলে হুমকি দেন। বিষয়টি মীমাংসায় ব্যর্থ হয়ে তিনি আদালতে এ মামলা করেছেন।