নিজস্ব প্রতিবেদক : জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে ৭ বছরের কারাদণ্ড এবং ১০ লাখ টাকা জরিমানার আদেশ দিয়েছেন আদালত।
মামলার অপর তিন আসামি খালেদা জিয়ার সাবেক রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী, জিয়াউল ইসলাম মুন্না এবং মনিরুল ইসলাম খানকে একই দণ্ড দেওয়া হয়েছে।
আজ সোমবার বেলা ১২টার দিকে রাজধানীর নাজিমুদ্দিন রোডের পুরোনো কেন্দ্রীয় কারাগারে স্থাপিত অস্থায়ী বিশেষ এজলাসে পঞ্চম বিশেষ জজ মো. আখতারুজ্জামান এই আদেশ দেন।
আজ সকালে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার অনুপস্থিতিতে বিচারিক কার্যক্রম চলা নিয়ে লিভ টু আপিল খারিজ হয়ে যাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে পূর্ব নির্ধারিত ২৯ অক্টোবরেই এই মামলার রায় ঘোষিত হলো।
মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণ থেকে জানা যায়, আট বছর আগে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে অবৈধভাবে ৩ কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা লেনদেনের অভিযোগে খালেদা জিয়াসহ চারজনের বিরুদ্ধে তেজগাঁও থানায় মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
দীর্ঘদিন এই মামলার শুনানিতে খালেদা জিয়া হাজির না হওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে গত ২০ সেপ্টেম্বর বিচারক তাঁকে ব্যক্তিগত হাজিরা থেকে অব্যাহতি দেন এবং খালেদা জিয়ার অনুপস্থিতিতে ওই মামলার বিচার কার্যক্রম চলবে বলে আদেশ দেন বিচারিক আদালত। এর বিরুদ্ধে খালেদা জিয়া হাইকোর্টে রিভিশন আবেদন করেন। শুনানি নিয়ে ১৪ অক্টোবর হাইকোর্ট আবেদনটি সরাসরি খারিজ করে দেন। হাইকোর্টের ওই আদেশের বিরুদ্ধে খালেদা জিয়া লিভ টু আপিল করেন যা আজ আদালত খারিজ করে দেয়।
খালেদা জিয়া বর্তমানে জিয়া এতিমখানা দুর্নীতি মামলায় ৫ বছরের কারাদণ্ড ভোগ করছেন। চলতি বছরের ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া এতিমখানা দুর্নীতি মামলায় বেগম জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেন আদালত। ওই দিনই পুরান ঢাকার নাজিম উদ্দিন রোডের পুরানো ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে নেওয়া হয় বেগম জিয়াকে। এরপর থেকে গত সাড়ে আট মাস ধরে কারাগারে আছেন বিএনপি চেয়ারপারসন। একই মামলায় বেগম জিয়ার বড় ছেলে ও বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক জিয়াসহ পাঁচজনকে ১০ বছর করে কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড দেওয়া হয়। শারীরিক অসুস্থতার কারণে সম্প্রতি কারাগার থেকে খালেদা জিয়াকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে (বিএসএমএমইউ) স্থানান্তর করা হয়েছে।