স্টাফ রিপোর্টার।। যশোরের ঝিকরগাছায় এক আইনজীবিসহ তিনজনকে কুপিয়ে জখম করা হয়েছে। এসময় ঘরবাড়ি ও মোটরসাইকেল ভাংচুরের ঘটনা ঘটে। আহতদের অভিযোগ, পানিসারা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নওশের আলীর পরিকল্পনায় তাদের উপর হামলা চালানো হয়।
শনিবার রাত ৮টার দিকে উপজেলার পানিসারা ইউনিয়নের রাজাপুর গ্রামে এ ঘটনাটি ঘটে। আহতরা হলেন রাজাপুর গ্রামের আনিসুর রহমানের ছেলে আইনজীবি রাসেল পারভেজ (৩০), রেজাউল মোড়লের ছেলে মহিউজ্জামান লিটন (৪৯) ও খুরশিদ আলমের ছেলে শাহজাহান (৪০)। আহতদের গুরুতর অবস্থায় যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
আইনজীবি রাসেল পারভেজ জানিয়েছেন,ঘটনার রাতে আমি বটতলা বাজার থেকে বাড়ি ফিরছিলেন। এসময় চেয়ারম্যান নওশের আলীর বাড়ির কাছে পৌঁছালে চেয়ারম্যানের ছেলে লাবু, ভাই মন্টু ভাইপো তুষার, ৮ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য সেলিম হোসেনসহ আরো কয়েকজন প্রথমে আমার উপর হামলা চালিয়ে কুপিয়ে জখম করে। আমার চিৎকারে লিটন ও শাহজাহান এগিয়ে আসলে দুর্বৃত্তরা তাদের উপর সশস্ত্র হামলা চালায়। রাসেল পারভেজ আরো জানান,পরে দুর্বৃত্তরা লিটনের বাড়ি হামলা চালিয়ে জানালা দরজা ভাংচুর করাসহ ব্যাপক তান্ডব চালায়।
এছাড়া আমার মামা জাকারিয়া ওরফে শওকত ও খালাতো ভাই তৌহিদুর রহমানের ব্যবহৃত দুটি মোটরসাইকেল ভাংচুর করে। রাসেল পারভেজ জানান,গত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী বাবর জান বারুর মিছিলে হামলা চালায় প্রতিপক্ষ নওশের আলীর সমর্থকেরা। এই ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলাটি আমি দেখভাল করার কারণে ক্ষিপ্ত চেয়ারম্যান নওশের আলীর পরিকল্পনায় তার লোকজন আমাদের উপর হামলা করে জখম ও ভাংচুরের ঘটনা ঘটিয়েছে।
এ ঘটনায় হামলাকারীদের নাম উল্লেখ করে ঝিকরগাছা থানায় একটি লিখিত এজাহার দেয়া হয়েছে। হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক আব্দুর রশিদ জানান, আহতদের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় ভর্তি করে সার্জারি ওয়ার্ডে পাঠানো হয়। তবে তারা আশংকামুক্ত।
এ বিষয়ে পানিসারা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নওশের আলী জানান, আইনজীবি রাসেল পারভেজসহ অন্যান্যরা আগে আমার লোকজনকে মারপিট করেছে। পরে তাদের উপর হামলা হয়েছে। ঝিকরগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) বলেন এই ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। আসামী আটকের চেষ্টা চলছে।