আজ - মঙ্গলবার, ২৪শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৯ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২২শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি, (শীতকাল), সময় - রাত ১২:২১

টাকা লুটের মামলায় পুলিশের এসআই ও কনস্টেবল রিমান্ডে

চট্টগ্রাম জেলার সীতাকুণ্ডে ব্যবসায়ীর কাছ থেকে টাকা লুটের মামলায় দুই পুলিশ সদস্যের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। সোমবার চট্টগ্রাম পঞ্চম জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত শুনানি শেষে এ আদেশ দেন। 

আসামিরা হলেন- এসআই সাইফুল আলম ও কনস্টেবল সাইফুল ইসলাম। তারা দুইজনই সীতাকুণ্ড থানায় কর্মরত ছিলেন।

চট্টগ্রাম জেলা পুলিশের কোর্ট ইন্সপেক্টর সুব্রত ব্যানার্জী বলেন, সীতাকুণ্ড থানার একটি মামলায় ২ পুলিশ সদস্যের ২ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। তাদের ৫ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করা হয়েছিল।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, গত ২০ ডিসেম্বর পিকআপ কেনার জন্য গাজীপুর থেকে সীতাকুণ্ডে আসেন আবু জাফর। দরদাম না মেলায় পুনরায় বাড়ি ফেরার উদ্দেশে পৌরসভার বাসস্ট্যান্ডে টিকিট কেটে শ্যামলী বাস কাউন্টারে অপেক্ষা করতে থাকেন তিনি। সেখানে দুইজন লোক তার পাশে এসে বসেন। তারা আবু জাফরের কাছে কোন জায়গা থেকে এসেছেন জানতে চান। একপর্যায়ে তাদের সঙ্গে যোগ দেন এসআই সাইফুল আলম ও সীতাকুণ্ড থানার ওসি ফিরোজ হোসেন মোল্লার বডিগার্ড কনস্টেবল সাইফুল ইসলাম। তারা দু’জন নিজেদের ডিবি পুলিশ সদস্য পরিচয় দিয়ে আবু জাফরকে ইয়াবা ব্যবসায়ী উল্লেখ করে তার পেটে ইয়াবা আছে বলে ভয়ভীতি দেখান। পরে আবু জাফরকে একটি গাড়িতে তুলে চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে পেটে ইয়াবা আছে বলে এক্সরে করান। তার পেটে ইয়াবা না পেয়ে তাকে গাড়িতে করে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরানো হয়। একপর্যায়ে তার কাছে থাকা ২ লাখ ৮০ হাজার টাকা কেড়ে নিয়ে তাকে ক্রসফায়ারের ভয়ভীতি দেখিয়ে ঢাকার একটি গাড়িতে তুলে দেয়া হয়। কিন্তু ব্যবসায়ী আবু জাফর ঢাকায় না গিয়ে চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ সুপারকে বিষয়টি জানান। পুলিশ সুপার বিষয়টি তদন্তের জন্য সীতাকুণ্ড সার্কেলের এডিশিনাল এসপি মো. আশরাফুল করিমকে নির্দেশ দেন। আশরাফুল করিম ঘটনার সত্যতা পেয়ে এসপিকে জানালে তিনি ওই দুই পুলিশ সদস্যকে গ্রেপ্তারের নির্দেশ দেন।

গত ২৪ ডিসেম্বর ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ী সীতাকুণ্ড থানায় হাজির হয়ে দুই পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে একটি মামলা করেন। মামলাটি আমলে নিয়ে পরদিন ২৫ ডিসেম্বর দুই পুলিশ সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়।

আরো সংবাদ