ঢাকার শাহজাহানপুরে আওয়ামী লীগ নেতা জাহিদুল ইসলাম টিপু খুনের পরিকল্পনাকারী হিসেবে ক্ষমতাসীন দলটিরই স্থানীয় এক নেতাকে চিহ্নিত করার কথা জানিয়েছে র্যাব। তিনি হলেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ১০ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওমর ফারুক।
তিনিসহ চারজনকে গ্রেপ্তারের পর শনিবার এক সংবাদ সম্মেলনে র্যাবের মুখপাত্র খন্দকার আল-মঈন বলেছেন, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে টিপু হত্যাকাণ্ড ঘটে।
গ্রেপ্তার অন্য তিনজন হলেন- নাসির হোসেন ওরফে কিলার নাসির, সালেহ সিকদার ও পলাশ।
এর আগে ওই হত্যা মামলায় মাসুম মোহাম্মদ আকাশ ও আরফান উল্লাহ দামাল দুজনকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ; যারা এখন রিমান্ডে রয়েছে।
এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় সব মিলিয়ে ছয়জন গ্রেপ্তার হলেন।
ঢাকার শাহজাহানপুরের আমতলী এলাকার রাস্তায় ২৪ মার্চ রাতে অস্ত্রধারীর গুলিতে নিহত হন আওয়ামী লীগ নেতা জাহিদুল ইসলাম টিপু (৫৪)। তার মাইক্রোবাসের পাশে দাঁড়িয়ে গুলি ছোড়ে হেলমেটধারী আততায়ী।
ওই সময় গাড়ির কাছেই রিকশায় থাকা বদরুন্নেছা সরকারী মহিলা কলেজের শিক্ষার্থী সামিয়া আফনান প্রীতিও গুলিতে নিহত হন। আহত হন টিপুর গাড়ি চালক মুন্না। মাত্র মিনিটখানেকের মধ্যে কাজ সেরে হামলাকারী সড়ক বিভাজক টপকে গুলি করতে করতে রাস্তার অন্য পাশে অপেক্ষায় থাকা একটি মোটরসাইকেলে উঠে পালিয়ে যান।
এ ঘটনায় টিপুর স্ত্রী ওয়ার্ড কাউন্সিলর ফারহানা ইসলাম ডলি শাহজাহানপুর থানায় অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করে মামলা দায়ের করেন।