আজ - শুক্রবার, ২২শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২০শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি, (হেমন্তকাল), সময় - সকাল ৮:০৪

তুচ্ছ ঘটনায় পুত্রবধুর হাতে শাশুড়ি খু*ন!

বগুড়া সদরের গোকুল ইউনিয়নের সরলপুর গ্রামে তুচ্ছ ঘটনায় পুত্রবধূর অমানুষিক নির্যাতনে বৃদ্ধা শ্বাশুড়ী খুনের অভিযোগ উঠেছে।

বুধবার দুপুর ২টায় এ ঘটনা ঘটে। এঘটনার পর থেকে পুত্রবধূ পলাতক রয়েছে। নিহত শাশুড়ী রাবেয়া আক্তার লিলি (৫৭)।
সরেজমিনে গিয়ে, বুধবার সন্ধ্যায় এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, বগুড়া সদরের গোকুল ইউনিয়নের সরলপুর মন্ডলপাড়া গ্রামে সুপারীর গাছ থেকে ঢাঁকসা পড়লে জৈনিক মুজিবুর রহমান মোল্লার স্ত্রী রাবেয়া আক্তার লিলি(৫৭) কুড়িয়ে নিয়ে গিয়ে তার চালের উপরে শুকাইতে দিলে তার ছোট পুত্র মনির এর স্ত্রী জোসনা আকতার মিতা(২৮) সেই ডাঁসা তার বলে দাবি করে শ্বশুড়িকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাস করেন। একপর্যায়ে তাঁদের বাগবিতর্কের শুরু হয়। পরে তার স্ত্রী ঘর থেকে বাহিরে পানি আনতে গেলে পুত্রবধূ মিতা শ্বাশুড়িকে কিল-ঘুষি মারেন। এতে অসুস্থ হয়ে পড়েন বৃদ্ধা লিলি বেগম। একপর্যায়ে বমন করতে থাকেন লিলি। এসময় প্রতিবেশীরা তাকে দ্রত উদ্ধার করে বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।
শ্বাশুড়ির মৃত্যুর সংবাদ পেয়ে তাৎক্ষণিক পালিয়ে যায় পুত্রবধূ মিতা। ৩ ছেলে ও ১ মেয়ে রয়েছে। বড় ছেলে মিজানুর রহমান মানুষ গড়ার কারিগর অর্থাৎ একজন শিক্ষক হলেও বাবা মায়ের কোন খোঁজ খবর রাখেন না। ২য় ছেলে মতিয়ার রহমানও তাই। ৩য় ছোট ছেলে মনির হোসেনও একই রকম।
মেয়ে মুন্নি খাতুনের বিয়ের পর সে স্বামীর ঘরে। তাদের ৩ ছেলের কাছেই যেন তাদের বাবা-মা চোখের বিষ। ৩ ছেলে স্বাবলম্বী হলেও পিতা মাতা তাদের বড়ই বোঝা। পাশাপাশি থাকলেও কেউ বাবা মা’র খোঁজ রাখতেন না। তাদের বাবা মা’র সংসারের হাঁড়ি ছিল ভিন্ন। বৃদ্ধ বাবা স্থানীয় একটি মসজিদের ইমামতি করেন। আর অসহায় বৃদ্ধা মা লিলি বেগম স্থানীয় একটি সরিষা তেল ফ্যাক্টরীতে বোতল লেভেল জাতকরনের কাজ করেই জীবনযাপন করতো। কোন সন্তানিই পিতা-মাতার খোজ খবর নেননি। কোন মতে তারা খেয়ে পড়ে বেঁচে থাকতেন। আর তারা সবাই কারণে অকারণে তাদের বাবা মাকে অমানুষিক নির্যাতন করতেন বলেও এলাকাবাসী অভিযোগ করে সাংবাদিকদের বলেন।

খবর পেয়ে বগুড়া সদর থানার এসআই রুম্মান ও এএসআই উজ্জ্বল হোসেন ঘটনাস্থলে এসে নিহতের লাশ উদ্ধার করে লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরী করে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।
এবিষয়ে সদর থানার এসআই রুম্মান জানান, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে লাশ মর্গে পাঠানো হয়েছে। সুরাতালহা রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে এবং পরিবারের পক্ষ থেকে হত্যা মামলা দায়ের করা হলে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে বলে তিনি জানান। এলাকাবাসী দোষীদের দ্রত গ্রেফতার করে শাস্তির দাবী জানান।

আরো সংবাদ
যশোর জেলা
ফেসবুক পেজ
সর্বাধিক পঠিত