আজ - বুধবার, ২৫শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১০ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৩শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি, (শীতকাল), সময় - সকাল ৮:০৫

তোতলা মিজানকে আটক করে আদালতে ক্ষমা চাইলেন এএসআই আল মিরাজ

নিজস্ব প্রতিবেদক : যশোর কোতয়ালি থানার এএসআই আল মিরাজ খান আটক মিজানুর রহমান ওরফে ‘তোতলা’ মিজানের অব্যাহতি চেয়ে আদালতে আবেদন করেছেন। বুধবার তিনি অনিচ্ছাকৃত এ ভুলের জন্য আদালতে ক্ষমাও চেয়েছেন। তবে এ প্রতিবেদন আদালতে পৌঁছানের আগেই জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে বিচারক মাহাদী হাসান তার জামিন মঞ্জুর করেছেন।

বোমা বিস্ফোরণ ও মারামারি একটি মামলার আসামি ‘পাগলা’ মিজানের পরিবর্তে মঙ্গলবার তাকে আটক করা হয়। বুধবার সন্ধ্যায় কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন মিজানুর রহমান ওরফে তোতলা মিজান। সে যশোর সদর উপজেলার খোলাডাঙ্গা গ্রামের নূরুল ইসলামের ছেলে। ওই মামলার এজাহার ও চার্জশিটের আসামি পাশের গ্রাম সুজলপুর হঠাৎপাড়া’র নূরুল হাওলাদারের ছেলে মিজানুর রহমান ওরফে পাগলা মিজান।

মামলা সূত্র মতে, ২০১৫ সালের ২৮ জানুয়ারি শহরতলীর সুজলপুর জামতলা আকবর মিয়ার রড ফ্যাক্টরির সামনে খোলাডাঙ্গা গ্রামের সাগর, তাহের, সুজলপুরের হঠাৎপাড়ার মিজানুর রহমান ওরফে পাগলা মিজান, নাজু, জাহাঙ্গীর, রিপন, রনি ও রবিউলসহ ১০/১২জনে নাশকতা সৃষ্টির উদ্দেশ্যে লেখা কিছু পোস্টার টাঙ্গাতে যায়। এসময় সুজলপুর গ্রামের আব্দুস সালাম মিঠু তাদের পোস্টার লাগাতে নিষেধ করে। এতে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে আব্দুস সালাম মিঠুকে লক্ষ্য করে কয়েকটি বোমা নিক্ষেপ করে। মিঠুর চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এসে সাগর ও তাহেরকে দু’টি বোমাসহ আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে।

এ ঘটনায় আব্দুস সালাম মিঠু বাদী হয়ে ৮ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরো ২ জনের বিরুদ্ধে যশোর কোতোয়ালি মডেল থানায় মামলা করেন। প্রথমে মামলাটি তদন্ত করেন কোতোয়ালি থানার তৎকালীন এসআই সোলায়মান আক্কাস। সর্বশেষ মামলাটি তদন্ত করে ৮ জনের বিরুদ্ধে ২০১৭ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন এসআই হায়াৎ মাহমুদ খান।

মামলার এজাহারে এবং চার্জশিটে আসামির নাম মিজানুর রহমান ওরফে পাগলা মিজান। পিতার নাম নূরুল হাওলাদার ও গ্রামের নাম সুজলপুর হঠাৎপাড়া উল্লেখ করা হয়। অথচ মঙ্গলবার ভোরে খোলাডাঙ্গা গ্রামের নূরুল ইসলামের ছেলে মিজানুর রহমান ওরফে তোতলা মিজানকে গ্রেপ্তারি পরোয়ানায় আটক করেন কোতোয়ালি মডেল থানার এএসআই আল মিরাজ খান। এসময় মিজান জাতীয় পরিচয়পত্র দেখাতে চাইলেও ওই দারোগা কর্ণপাত করেননি বলে অভিযোগ রয়েছে।

মঙ্গলবার বিকেলে বিষয়টি জানাজানি হলে পুলিশের কর্তাব্যক্তিরাও অবহিত হন। পরে তারা খোঁজখবর নিয়ে ভুল বুঝতে পারেন। এর প্রেক্ষিতে বুধবার আদালতে ভুল স্বীকার করে আদালতে প্রতিবেদন জমা দেন ওই পুলিশ কর্মকর্তা। এর আগে মিজানুর রহমান ওরফে তোতলা মিজানের পক্ষে জামিন আবেদন করেন অ্যাডভোকেট বেনজির আহম্মদ। জামিন আবেদনের শুনানি শেষে বিচারক তার জামিন মঞ্জুর করেন।

আরো সংবাদ