ভারতের রাজধানী দিল্লির স্কুলগুলো আজ সোমবার থেকে আবার খুলেছে। প্রায় ১০ মাস পর স্কুলে শিক্ষার্থীরা। মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল দশম ও দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জন্য স্কুলগুলো আবার খোলার সম্মতির পরই স্কুল খুলল। তবে রাজ্য সরকার কিছু বিধিনিষেধ জারি করে স্কুল খোলার অনুমতি দিয়েছে। এই বিধিনিষেধের নাম স্ট্যান্ডার্ড অপারেশনাল পদ্ধতি (এসওপি)
বিদ্যালয়গুলোকে এই এসওপিগুলো মেনে চলতে হবে। পাশাপাশি শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকদেরও নজর দিতে হবে বিষয়গুলোয়ে।
প্রায় ১০ মাস পর শিক্ষার্থীরা স্কুলে আসায় রাজ্যর উপমুখ্যমন্ত্রী ও শিক্ষামন্ত্রী মনীশ সিসোদিয়া টুইটে অভিনন্দন জানিয়েছেন। তিনি টুইটে লেখেন, ‘দশম ও দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জন্য শুভকামনা। ১০ মাস পরে আজ তারা বিদ্যালয়ে এসেছে…যদিও সবাই নিয়মের কারণে আসতে পারছে না; তবু…আমি আনন্দিত যে আজ স্কুলগুলো আবার খুলেছে।’
করোনা সংক্রমণ কমে আসায় দিল্লির স্কুলগুলো খোলার সিদ্ধান্ত নেয় রাজ্য সরকার। তবে সংক্রমের হার যেসব এলাকায় বেশি, সেখানকার স্কুলগুলো এখনো খোলা হয়নি। পরিস্থিতি বিবেচনায় পরে এ সিদ্ধান্ত নেবে রাজ্য সরকার।
এনডিটিভি ও হিন্দুস্তান টাইমসের খবরে বলা হয়েছে, শিক্ষার্থীরা এসওপি মেনে কেবল মা–বাবার লিখিত অনুমতি নিয়ে স্কুলে যেতে পারছে। যেসব শিক্ষার্থীর মা–বাবার দেওয়া সম্মতিপত্র নেই, তাদের বিদ্যালয়ের ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। স্কুলে অ্যাসেম্বলি ও অতিরিক্ত পাঠ্যক্রম পড়ানো যাবে না। স্কুলগুলো শুধু প্রয়োজনীয় ক্লাস এবং অনুশীলনের জন্য খোলা হয়েছে। ছাত্রছাত্রীরা যাতে খাবার বা অন্যান্য জিনিসের বিনিময় না করে, সেদিকে শিক্ষকেরা নজর রাখছেন। স্কুলে ক্লাসের সময় ছয় ঘণ্টা থেকে কমিয়ে দুই ঘণ্টা করা হয়েছে। ৫০ জনের বেশি ক্লাসে উপস্থিত থাকতে পারবে না। ল্যাবে একসঙ্গে ১০ জনের বেশি থাকতে পারবে না।
কোনো শিক্ষার্থী, শিক্ষক বা কর্মচারী, যিনি করোনারভাইরাস দ্বারা সংক্রামিত, স্কুল চত্বরে প্রবেশের অনুমতি পাননি। যে কর্মচারী বা শিক্ষার্থীদের করোনার লক্ষণ রয়েছে, তারাও স্কুলে ঢুকতে পারছে না। বিদ্যালয়ের গেটে থার্মাল স্ক্যানার বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। স্কুলের মূল ফটকটি ক্লাসের আগেই খুলে দেওয়া হয়, যাতে সেখানে ভিড় না হয়। স্কুলের প্রধান গেট, ল্যাব, ক্লাস, জনসাধারণের ব্যবহারের স্থানসহ ক্যাম্পাসের সব স্থানে স্যানিটাইজার রাখা আছে।