আজ - শনিবার, ২৩শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২১শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি, (হেমন্তকাল), সময় - রাত ১:১৬

নওয়াপাড়ায় রক্ত দিয়ে স্বামী ও পরকিয়া প্রেমিকার নাম লিখে স্ত্রীর আত্মহত্যা!

যশোরের অভয়নগর উপজেলার নওয়াপাড়া প্রফেসরপাড়ায় ভাড়াটিয়া বাড়িতে ঘরের মেঝেতে রক্ত দিয়ে “এ প্লাস আর” লিখে কুলসুম আক্তার (৩৫) নামের এক গৃহবধূ গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছে।

পুলিশ ওই গৃহবধূও ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠিয়েছে। বৃহস্পতিবার রাত ৮টায় এ ঘটনা ঘটে।

পুলিশ ও স্থানীয়দের সূত্রে জানা যায়, রাজধানী ঢাকার আব্দুল মালেকের ছেলে ইমতিয়াজ আবাবিল মোহাম্মদ ইয়াসিন (৩৯) এর সাথে ৬ বছর পূর্বে স্বামী পরিত্যাক্তা অভয়নগর উপজেলার বিভাগদি গ্রামের কুলসুম আক্তার কুসুমের (৩৫) বিয়ে হয়।

বিয়ের পর থেকে কুসুম ও কুসুমের মেয়েকে নিয়ে প্রফেসরপাড়া এলাকার মতিয়ার রহমানের বাড়ি ভাড়া নিয়ে বসবাস শুরু করেন। বিয়ের কিছুদিন অতিবাহিত হওয়ার পর কুসুম তার স্বামীর পরকিয়া প্রেমিকা ফাতেমা আক্তার রুমার ব্যাপারে জানতে পারেন।

এ নিয়ে বিভিন্ন সময় তাদের মধ্যে ঝগড়া-বিবাদ শুরু হয়। ঝগড়া-বিবাদের জেরে স্বামীর উপর অভিমান করে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তাদের ভাড়া বাড়িতে ফ্যানের সিলিংয়ের সাথে ওড়না পেঁচিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে।

স্বামী পরিত্যাক্তা কুলসুম আক্তার কুসুমের মেয়ে মোবাইলে তার সৎ পিতার কল পেয়ে কুসুমের ঘরের দরজায় কড়া নাড়লে ঘরের দরজা বন্ধ পায়। নিহত গৃহবধূর কন্যা জান্নাতুল ফেরদৌস মিম (১৮) জানান, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর তার মায়ের কক্ষটি বন্ধ দেখতে পেয়ে ডাকাডাকি করলে সাড়া না পেয়ে এলাকাবাসীদের ডেকে ঘরের দরজা ভেঙ্গে ফ্যানের সাথে তার মায়ের লাশ ঝুলতে দেখতে পায়।

বিষয়টি থানা পুলিশকে অবহিত করলে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে তার মায়ের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে। এ সময় পুলিশসহ উপস্থিত সাংবাদিক ও স্থানীয়দের সামনে মিম জানায়, তারা বাবার সাথে ফাতেমা আক্তার রুমা নামের এক মেয়ের পরকিয়ার সম্পর্ক রয়েছে এমন সন্দেহে প্রায়ই তার বাবা-মায়ের মাঝে ঝগড়া বিবাদ লেগে থাকতো।

স্বামীর পরকিয়া প্রেমিকা ফাতেমা আক্তার রুমাকে নিয়ে স্বামীর উপর অভিমান করে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তাদের ভাড়া বাড়িতে ফ্যানের সিলিংয়ের সাথে ওড়না পেঁচিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা কে ছেন তার মা। এসময় মিম জানায়, মৃত্যুর আগে তার মা ঘরের মেঝেতে রক্ত দিয়ে ‘এ প্লাস আর’ লিখে আত্মহত্যা করেছে।

ধারনা করা হচ্ছে স্বামী ও পরকিয়া প্রেমিকার নামের আদ্যাক্ষর নিজের রক্ত দিয়ে মেঝেতে লিখে আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছে এই গৃহবধূ।

এ ব্যাপারে থানায় অপমৃত্যু মামলা দায়ের প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

বিষয়টি সম্পর্কে অভয়নগর থানার ওসি (তদন্ত) মিলন কুমার মন্ডল জানান, গৃহবধূর আত্মহত্যার খবর পেয়ে পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করেছে। তদন্তপূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

আরো সংবাদ
যশোর জেলা
ফেসবুক পেজ
সর্বাধিক পঠিত