আজ - শনিবার, ২৩শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২১শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি, (হেমন্তকাল), সময় - বিকাল ৪:৪৩

রূপদিয়ায় আ’লীগ নেতা হিমুর করোনা প্রতিরোধক স্প্রে ও সচেতনতামূলক প্রচারণা।

রূপদিয়া প্রতিনিধি:: মানুষের কল্যাণের জন্য যার পৃথিবীতে আসা সে কি মানুষের দুর্দিনে ঘরে বসে থাকতে পারে? সরকারি সকল নির্দেশনা মেনে অন্যান্যদের বাড়ি বসে থাকা আর মনিরুল ইসলাম হিমু’র বাড়ি বসে থাকার মধ্যে ছিল অনেক পার্থক্য। গত কয়েকদিন বাড়িতে বসেই তিনি আবিষ্কার করে ফেলেন পুরো ইউনিয়নের মানুষকে কিভাবে করোনাভাইরাস নামক এই মরণঘাতি ভাইরাস থেকে বাঁচতে সহযোগিতা করা যায়। কোন মানুষের খুব বেশি কাছে না গিয়ে কিভাবে মানুষের মধ্যে সচেতনতা তৈরি করা যেতে পারে এবং করোনাভাইরাস কে পুরোপুরি ধ্বংস করতে কোন ধরনের পদক্ষেপ নেয়া যেতে পারে।

জনস্বার্থে খানজাহান আলী 24/7 নিউজ

এসব ভাবতেই তিনি আবিষ্কার করে ফেলেন চমৎকার এবং প্রশংসনীয় এমন কাজের। আজ ২৭ শে মার্চ (শুক্রবার) সকাল থেকেই একটি পিকআপ ভ্যানে মাইক লাগিয়ে জীবাণুমুক্তকরণ পানি, স্প্রে ম্যাশিন এবং কিছু সংখ্যক স্বেচ্ছাসেবক নিয়ে বেরিয়ে ইউনিয়নের গুরুত্বপূর্ণ স্থান সহ ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলোতে জীবাণুমুক্তকরণ পানি স্প্রে করার পাশাপাশি সাধারণ মানুষকে সচেতন করতে বিভিন্ন সচেতনতামূলক বার্তা মানুষের মাঝে পৌঁছে দেন।

যেখানে মানুষ দু চার জনকে নিয়ে ভাবছে সেখানে মনিরুল ইসলাম হিমুর ভাবনা অনেক উঁচুতে। তিনি তার পুরো পরিবারের পাশাপাশি পুরো ইউনিয়নের মানুষের কথা ভেবে সকাল থেকেই ইউনিয়নের সকল গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলো সহ ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে জীবাণুমুক্তকরণ পানি স্প্রে করিয়ে করোনা ভাইরাস সংক্রমণ থেকে মানুষকে বাঁচানোর এক প্রশংসনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন পাশাপাশি পিকআপ ভ্যানে ৩ টি ব্যারেলে জীবাণুমুক্তকরণ পানি মিশিয়ে ইউনিয়নের গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে স্প্রে করেছেন। তিনি নিজেই ওই গাড়িতেই মাইক খাটিয়ে প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত নিজ কন্ঠে মানুষের মাঝে সচেতনতা মূলক বাত্রা পৌঁছে দিয়েছেন।

এর আগে এই ইউনিয়নে হোম কোয়ারেন্টিনে থাকা একটি পবিবারের পাশে গিয়ে দাঁড়িয়েছিলেন মনিরুল ইসলাম হিমু। গত ২৪ শে মার্চ রাতের অন্ধকারে হোম কোয়ারেন্টাইন এ থাকা ঐ পরিবারকে খাদ্যদ্রব্য বিতরণ করতে দেখা যায় এই মানবতার ফেরিওআলাকে। রূপদিয়া অঞ্চলের বাসিন্দা লিয়াকত খানের বাড়িতে ঢাকা থেকে অতিথি আসায় ইউনিয়ন পরিষদ কর্তৃক ওই পরিবারকে হোম কোয়ারেন্টিন এ থাকার আদেশ প্রদান করেন পরিবারটি খাদ্য সংকটে ভোগে। মনিরুল ইসলাম হিমু বিষয়টি লক্ষ্য করে পরিবারটির পাশে দাঁড়িয়ে এক অনন্য দৃষ্টান্ত রেখেছিলেন।

আগে থেকেই মনিরুল ইসলাম হিমু এই অঞ্চলের দরিদ্র মানুষের পাশে বিপদে-আপদে সহযোগিতার হাত বাড়িয়েছেন। প্রতিবছর ঈদের সময় নিজ উদ্যোগে অসহায় মানুষের বাড়িতে গিয়ে সেমাই চিনি বিতরণের ফলে অনেক আগে থেকেই মানুষের মনে জায়গা করে নিয়েছেন এই মানুষটি।

জনস্বার্থে খানজাহান আলী 24/7 নিউজ

অত্র অঞ্চলের অসহায় মানুষের সুবিধা অসুবিধা সবকিছুই মনিরুল ইসলাম হিমু’র জানা। মানুষের বিপদে সবার আগে থাকা এই মানুষটি নরেন্দ্রপুর ইউনিয়নের গা ফাটা পা ফাটা মানুষের উপকারের বন্ধু বলেই মনে করেন সাধারণ মানুষ।
মনিরুল ইসলাম হিমু বলেন, “মানুষের পাশে থাকতে আমার ভালো লাগে। আমি মনে করেছি এটা আমার নৈতিক দায়িত্ব, সে দায়িত্ববোধ থেকে আমি এমন কাজ করেছি। একাজে আমার অনেক কাছের মানুষগুলোকে আমি কাছে পেয়েছি। আজকের এই কাজের অবদান আমার পাশাপাশি যারা সারাদিন আমার সাথে ছিল তাদেরও আছে। শুধুমাত্র করোনাভাইরাস এর সংক্রমণ যাতে না ছড়ায় তার সামান্য চেষ্টা করেছি। মানুষ সরকারি নির্দেশনা মেনে যদি দোকানপাট বন্ধ রাখত এবং নিজেরা সচেতন হয়ে প্রত্যেকে এক একজন সাধারণ মানুষের দায়িত্ব বুঝে নিত তাহলে অসহায় মানুষগুলো অনেক উপকার পেতো। মানুষের জন্য দোয়া করবেন সকলে সচেতন থাকলে ইনশাল্লাহ আমরা এই মরণব্যাধি থেকে বেঁচে যাব।”

আরো সংবাদ
যশোর জেলা
ফেসবুক পেজ
সর্বাধিক পঠিত