আজ - মঙ্গলবার, ৭ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২৪শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৮শে শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি, (গ্রীষ্মকাল), সময় - দুপুর ১:৩৩

নাশকতার উদ্দেশ্যে ঢাকায় আসে ‘প্রশিক্ষিত’ জঙ্গিরা

রাজধানীতে বড় ধরনের নাশকতার উদ্দেশ্যে আনসার আল ইসলামের চার জঙ্গি যাত্রাবাড়ীতে একত্রিত হয় বলে জানিয়েছেন ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার ও কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইমের (সিটিটিসি) প্রধান মনিরুল ইসলাম।

তিনি বলেন, তারা পাহাড়ি এলাকায় প্রশিক্ষণ সম্পন্ন করে সংগঠনের পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নের উদ্দেশ্যে ঢাকায় এসেছিলেন।

শুক্রবার (১১ অক্টোবর) বেলা সাড়ে ১১টায় রাজধানীর ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।

মনিরুল ইসলাম বলেন, সিটিটিসির একটি টিম গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকা থেকে বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) রাতে তাদের গ্রেফতার করে।

গ্রেফতাররা হলেন- মোহাম্মদ শাহিন ওরফে ওমর, মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম, মো. আনিসুজ্জামান ওরফে বিপ্লব ও মো. আল মামুন।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতাররা জানান, তারা নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলামের সক্রিয় সদস্য।তারা সংগঠনের আদর্শ অনুসারে কথিত হিজরত করে দেশের বিভিন্ন জেলায় সদস্য সংগ্রহ করেন। পরে তারা সদস্যদের নিয়ে সুন্দরবন করমজল এলাকায় একটি প্রশিক্ষণ ক্যাম্পে এক সপ্তাহের প্রশিক্ষণ নেন। পরবর্তীতে সেখানে থেকে বান্দরবানের আলীকদম এলাকায় প্রায় একমাস ব্যাপী প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন তারা।

মনিরুল ইসলাম আরও বলেন, পাহাড়ি এলাকায় প্রশিক্ষণ সম্পন্ন করে তারা সংগঠনের পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নের উদ্দেশ্যে ঢাকায় আসেন। নিরাপদে জঙ্গি কার্যক্রম চালানোর জন্য পাহাড়ি এলাকায় কফিশপ চালু করেছিলেন তারা। এই কফিশপের আড়ালে তারা নিরাপদে জঙ্গি কার্যক্রম চালানোর পরিকল্পনা নিয়েছিলেন। তারা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক মেসেঞ্জারে চ্যাট গ্রুপের মাধ্যমে একে অপরের সঙ্গে যোগাযোগ করতেন। বিভিন্ন ধরনের দিকনির্দেশনা দেয়া হতো চ্যাট গ্রুপের মাধ্যমে।

তারা জানায়, জননিরাপত্তা বিপন্ন করার উদ্দেশ্যে প্রজাতন্ত্রের সম্পত্তি ক্ষতি সাধনের লক্ষ্যে নাশকতামূলক কার্যকলাপ করার উদ্দেশ্যে একত্রিত হয় বলে প্রাথমিকভাবে জানা যায়।

সেনাবাহিনী থেকে বহিষ্কার হওয়া মেজর জিয়ার সর্বশেষ অবস্থান সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি কাউন্টার টেরোরিজম প্রধান মনিরুল বলেন, মেজর জিয়া বর্তমানে নিষ্ক্রিয় অবস্থায় আছেন। এই সংগঠনের সঙ্গে তার কতটুকু যোগাযোগ রয়েছে বা তিনি কী অবস্থায় আছেন সেটা জানার চেষ্টা চলছে। এটা জানার জন্য এই গ্রুপের শায়েখকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। তবে আমাদের ধারণা তিনি এখন কিছুটা নিষ্ক্রিয়। কারণ তিনি যদি সক্রিয় থাকতেন তাহলে আমাদের গোয়েন্দা ইন্টালেজিন্সিতে তার বিষয়ে তথ্য উঠে আসতো।

আরো সংবাদ
যশোর জেলা
ফেসবুক পেজ
সর্বাধিক পঠিত