বিচারকের স্বাক্ষর ও সিল জাল করে ভুয়া অ্যাফিডেভিট তৈরি করে পেট্রোল পাম্প দখল চেষ্টার অভিযোগ ৩ জনের বিরুদ্ধে যশোর আদালতে মামলা হয়েছে। বুধবার শার্শার যাদবপুর গ্রামের গোলাম কিবরিয়ার মেয়ে তনিমা তাসনুভা বাদী হয়ে এ মামলা করেছেন। সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রহমত আলী অভিযোগটি এজাহার হিসেবে গ্রহণ করার আদেশ দিয়েছেন বেনাপোল পোর্ট থানার ওসিকে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাদীর আইনজীবী প্রবীর চক্রবর্তী।
আসামিরা হলো, শার্শার বসতপুর গ্রামের দুদু মিয়ার দুই ছেলে আনোয়ার হোসেন ও জামাল হোসেন এবং ভবের বেড় গ্রামের মফিজ উদ্দিনের ছেলে ইব্রাহিম হোসেন।
মামলার অভিযোগে জানা গেছে, শার্শার কাগজ পুকুরের মেসার্স তনিমা ফিলিং স্টেশনের সত্ত্বাধিকারী তনিমা তাসনুভা। ফিলিং স্টেশনের জমি এবং স্টেশন তার পৈতৃক সূত্রে পাওয়া। ফিলিং স্টেশনের যাবতীয় কাগজপত্র সঠিক থাকায় জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ অধিদফতর খুলনা সনদপত্র প্রদান করে। এ সকল কাগজপত্রের মাধ্যমে তিনি দীর্ঘদিন ধরে তনিমা ফিলিং স্টেশনটি পরিচালনা করে আসছেন। কিন্তু আসামি আনেয়ার হোসেন ও জামাল হোসেন পরস্পর যোগসাজসে অপর আসামি ইব্রাহিম হোসেনের সহায়তায় একজন সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্্েরটের স্বাক্ষর ও সিল জাল করে একটি ভুয়া অ্যাফিডেভিট তৈরি করে। ওই অ্যাফিডেভিটে মেসার্স তনিমা ফিলিং স্টেশনের সাবেক সত্ত্বাধিকারী গোলাম কিবরিয়ারও জাল স্বাক্ষর করা হয়। এই ভুয়া অ্যাফিডেভিটের মাধ্যমে আসামিরা মেসার্স তনিমা ফিলিং স্টেশন দখলের চেষ্টা চালায়। বিষয়টি তনিমা তাসনুভা জানতে পেরে আদালতের দ্বারস্থ হন। পরে আদালতের মাধ্যমে তিনি জানতে পারেন, আসামিদের প্রদর্শিত অ্যাফিডেভিটটি ভুয়া এবং এতে বিচারকের স্বাক্ষর ও সিল জাল। জালিয়াতি করে অ্যাফিডেভিট তৈরির অভিযোগে তিনি আদালতে এ মামলা করেছেন।