আজ - সোমবার, ২৩শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৮ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২১শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি, (শীতকাল), সময় - দুপুর ১২:৫৫

পত্র পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশের পর রাতারাতি পাল্টে গেছে স:প্রা:বিদ্যালয়ের চিত্র

অবিশ্বাস্য হলেও সত্য যে, সোস্যাল মিডিয়া সহ বিভিন্ন অন-লাইন ও পত্রিকাতে “৪শিক্ষকের বিপরীতে ৩ শিক্ষার্থী” শিরোনামে সংবাদ প্রকাশের ফলে রাতারাতি পাল্টে গেছে শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলার হাতিবান্ধা হদিপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চিত্র। ২২নভেম্বর মঙ্গলবার বিকাল ৩ঘটিকার সময় অত্র বিদ্যালয়ে সরেজমিনে গিয়ে দেখা মেলে ভিন্ন চিত্র। যেখানে আগের দিন সোমবার ওই বিদ্যালযে উপস্থিত শিক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল মাত্র ৩জন। সেখানে মঙ্গলবার ১ম ও ২য় শ্রেণির শিক্ষার্থী ছাড়াও ৩য় শ্রেণিতে ১৪ জন, ৪র্থ শ্রেণিতে ১৭ জন এবং ৫ম শ্রেণিতে ২ জন শিক্ষার্থীদের দেখা মেলে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশের পর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) নুরুন নবী’র নির্দেশে সোমবার দিবাগত রাতেই ওই বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও ম্যানেজিং কমিটির সদস্যরা প্রতিটি শিক্ষার্থীর বাড়ী বাড়ী গিয়ে শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয়মুখী করার চেষ্টা করেন। ফলে মঙ্গলবার বিগত সময়ের চেয়ে ওই বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের সংখ্যা বেড়েছে।

এ ব্যাপারে প্রধান শিক্ষক ইয়াসিন আলী বলেন, “দীর্ঘ সময় করোনার কারণে বিদ্যালয় বন্ধ ছিল। এই সুযোগে অনেক শিক্ষার্থী বিভিন্ন নুরানিয়া মাদ্রাসায় ও কিন্ডারগার্ডেন স্কুলে চলে গেছে। আমি ও আমার সহকর্মিরা ম্যানেজিং কমিটির সহযোগীতা নিয়ে অত্র এলাকার সকল শিশুদের বিদ্যালয়মুখী করতে চেষ্টা করছি। তবে এ ক্ষেত্রে অভিভাবকদের সহযোগীতা অতীব জরুরি। ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি রাবেয়া রিমি বলেন, ” করোনাকালীণ সময়ে স্কুল বন্ধ থাকায় এনজিও’র স্কুল, নুরানী মাদ্রাসা ও কিন্ডারগার্ডেন স্কুল খোলা থাকায় ছাত্র সংকট দেখা দিয়েছে। আমরা এলাকার সকল শিশুদের বিদ্যালয়মুখী করতে চেষ্টা করছি”। উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) নুরুন নবী বলেন, “ওই বিদ্যালয়ের ছাত্র সংকট বিষয়টি দু:খজনক। প্রকাশিত সংবাদগুলো আমার দৃষ্টিগোচর হওয়া মাত্রই আমি প্রধান শিক্ষককে নোটিশ করা হয়েছে । এ ব্যাপারে উপজেলার কোন বিদ্যালয়কে ছাড় দেয়া হবেনা।

আরো সংবাদ