জাতীয় ক্রিকেট লিগের চলতি আসরে সতীর্থ আরাফাত সানি জুনিয়রের গায়ে হাত তোলায় বিসিবি আয়োজিত সব ধরণের ক্রিকেট থেকে পাঁচ বছরের জন্য নিষিদ্ধ হয়েছেন পেসার শাহাদাত হোসেন। এর মধ্যে দুই বছরের স্থগিত নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। সঙ্গে অর্থদণ্ডও দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার বিসিবি (বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড) তার এই শাস্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

রোববার খুলনার শেখ আবু নাসের স্টেডিয়ামে খুলনা বিভাগের বিপক্ষে ঢাকার শাহাদাত হোসেন এই অনাকাঙ্খিত ঘটনা ঘটান। বিষয়টি সোমবার প্রকাশ্যে আছে। এ নিয়ে সংবাদ প্রকাশিত হয়। একদিন বাদেই শাহাদাতকে শাস্তির আওতায় আনলো বিসিবি।তিনি আগামী ২৬ নভেম্বর পর্যন্ত সাজা কমানোর আপিল করতে পারবেন। 

বিসিবির প্রধান নির্বাচক ও টেকটিক্যাল কমিটির প্রধান মিনহাজুল আবেদিন নান্নু জানান, শাহাদাতের অপরাধের মাত্রা বিবেচনা করে তার বিরুদ্ধে শাস্তির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, ‘শাহাদাত আগেও শৃঙ্খলাভঙ্গের ঘটনা ঘটিয়েছে। সেটাকে বিবেচনায় নেয়া হয়েছে। মাঠে সতীর্থের গায়ে হাত তোলা, এটা গুরুতর অপরাধ। টেকনিক্যাল কমিটির সবাই তার এই শাস্তির ব্যাপারে একমত হয়েছেন।’

মিনহাজুল আবেদিন বলেন, ‘আমরা মনে করছি, অন্য ক্রিকেটারদের জন্যও এটা একটা দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে। একজন ক্রিকেটার বারবার অপ্রীতিকর ঘটনায় জড়াচ্ছে। এটা যে কোন ক্রিকেটারের জন্যই খারাপ ব্যাপার। শৃঙ্খলার ক্ষেত্রে কাউকে ছাড় দেয়া হবে না, এই বার্তাটা আমরা সবাইকে দিতে চাই।

উল্লেখ্য শাহাদাত হোসেন তার সতীর্থ আরাফাত সানি জুনিয়রকে বল ঘসতে (সাইন করা) বলেন। কিন্তু সানি তা করতে অপারগতা জানায়। এতেই রেগে গিয়ে তার গায়ে হাত তোলেন শাহাদাত। পরে শাহাদাত জানান, সানিও তার সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেছে। যে ভক্তিতে বল ঘসতে পারবে না বলেছে, সেটা শুনেই তার রাগ হয়ে গিয়েছিল। বাংলাদেশের হয়ে শাহাদাত ৩৮ টেস্ট, ৫১ ওয়ানডে ও ৬টি টি-২০ খেলেছেন। ২০১৫ সালের মে মাসে সর্বশেষ জাতীয় দলের জার্সি পরেছেন তিনি।

এর আগে গৃহকর্মীকে নির্যাতনের দায়ে তিনি এবং তার স্ত্রী কারাভোগ করেন। নিষিদ্ধও হন তিনি। সেই সাজা ভোগ করে আবার ক্রিকেটে ফেরেন। ভুল থেকে শিক্ষা নেওয়র কথা বলেন। এবার আবার বড় সাজা পেলেন তিনি। ৩৩ বছর বয়স হয়ে যাওয়া শাহাদাত এই নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে আবার ক্রিকেটে ফিরতে পারবেন কি-না বলা শক্ত।