আজ - রবিবার, ২৪শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৯ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২২শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি, (হেমন্তকাল), সময় - রাত ১১:৩৯

পাগলা মসজিদের দানবক্সে মিললো ২৮ বস্তা টাকা।

কিশোরগঞ্জ পৌর শহরের পাগলা মসজিদের ৯টি লোহার দানবাক্স আছে। প্রতি তিন মাস পর পর দানবাক্সগুলো খোলা হয়। তবে এবার তিন মাস ২৭ দিন পর দানবাক্সগুলো খোলা হয়েছে।

শনিবার (১৭ আগস্ট) সকাল সাড়ে ৮টায় ৯টি দানবাক্স ও একটি ট্যাঙ্ক থেকে ২৮ বস্তা টাকা পাওয়া গেছে। সাথে পাওয়া গেছে বৈদেশিক মুদ্রা ও সোনার গয়না। এখন চলছে গণনার কাজ। গণনায় অংশ নিয়েছেন প্রায় ৩৫০ জনের একটি দল।

কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক ও পাগলা মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ জানান, ৩ মাস ২৬ দিন পর শনিবার সকালে পাগলা মসজিদের ৯টি দানবাক্স খোলা হয়েছে। এবার দিন বেশি হওয়ায় একটি ট্রাংক দেওয়া হয়েছিল। পরে মসজিদের দোতলায় এনে টাকা গণনার কাজ শুরু হয়েছে। আশা করা যাচ্ছে, এবারও ভালো কিছু হতে চলেছে।

তিনি বলেন, আমরা মানুষের স্বপ্ন ও ইচ্ছা অনুযায়ী বর্তমান মসজিদের স্থানে একসঙ্গে ৩০ হাজার মুসুল্লী নামাজ আদায় করতে পারে এমন একটি বিশাল মসজিদ কমপ্লেক্স নির্মাণ করব। আধুনিক স্থাপত্যের এ মসজিদ নির্মাণে অচিরেই নকশা চূড়ান্ত করাসহ কাজ শুরু হবে।

জেল প্রশাসক আরও জানান, প্রাপ্ত দানের টাকা থেকে পাগলা মসজিদ এবং এর অন্তর্ভুক্ত মাদ্রাসা, এতিমখানা ও গোরস্থানের ব্যয় নির্বাহ করা হয়। এ ছাড়া দানের টাকায় জেলার বিভিন্ন মসজিদ, মাদ্রাসা, এতিমখানায় সহায়তার পাশাপাশি গরিব ছাত্র ও দুস্থদের আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়।

জানা যায়, প্রায় পাঁচশ বছর পূর্বে বাংলার বারো ভুঁইয়া বা প্রতাপশালী বারোজন জমিদারদের অন্যতম ঈশা খাঁর আমলে দেওয়ান জিলকদর খান ওরফে জিল কদর পাগলা নামক এক ব্যক্তি নদীর তীরে বসে নামাজ পড়তেন। পরবর্তীতে ওই স্থানটিতে মসজিদটি নির্মিত হয়। জিল কদর পাগলার নামানুসারেই মসজিদটি ‘পাগলা মসজিদ’ হিসেবে পরিচিতি পায়।

আরো সংবাদ