আজ - সোমবার, ২৩শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৮ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২১শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি, (শীতকাল), সময় - ভোর ৫:৫৪

পিআরএল (অবসর) এ যাওয়া সহকর্মীদের সুসজ্জিত গাড়িতে করে পৌঁছে দিয়ে অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন পুলিশ সুপার, যশোর।

চাকুরীজীবন সমাপ্ত করে পিআরএল এ যাওয়া সহকর্মীদের বিদায়বেলায় আনুষ্ঠানিকতার সাথে সুসজ্জিত গাড়িতে করে কর্মস্থল থেকে শেষবারের মতো বাড়ি পৌঁছে দিয়ে অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন সম্মানিত পুলিশ সুপার, যশোর।

গত ২৩/০৭/২০২০ তারিখে জেলা পুলিশ যশোরের ত্রৈমাসিক কল্যাণ সভায় সিদ্ধান্ত হয় যে অবসরে যাওয়া সহকর্মীদের বাড়ি যশোর বা পার্শ্ববর্তী জেলায় হলে সুসজ্জিত গাড়ি করে তাদের বাড়ি পৌঁছে দেয়া হবে আর দূরের জেলায় হলে শীতাতপনিয়ন্ত্রিত গাড়ির টিকেট দেয়া হবে! বাস স্ট্যান্ড পর্যন্ত সুসজ্জিত গাড়ি করে পৌঁছে দেয়া হবে!

 

তারই প্রেক্ষিতে গত ৩১/০৭/২০২০ খ্রিঃ বাদ জুম্মা পুলিশ লাইন্সে যশোর জেলার পুলিশ সুপার জনাব মুহাম্মদ আশরাফ হোসেন পিপিএম এর নির্দেশনায় প্রথম বারের মত যশোর জেলা থেকে অবসরে যাওয়া চার কনস্টেবল কে বিদায় দেয়া হয়!

এরই ধারাবাহিকতায় অদ্য ০২/১০/২০২০ খ্রিঃ বিকাল ০৫.০০ ঘটিকায় কাজের শত ব্যস্ততার মাঝেও প্রিয় সহকর্মীকে বিদায় জানাতে ভুলেন নাই পুলিশ সুপার মহোদয়, তাই তো যশোর ডাঃ আব্দুর রাজ্জাক মিউনিসিপ্যাল কলেজে অদ্য যশোর জেলা থেকে অবসর উত্তর ছুটি (পিআরএল), গমণকারী সহকর্মী নায়েক/৩১৮, জনাব মোঃ জামাত আলী কে আনুষ্ঠানিকতার সাথে সুসজ্জিত গাড়িতে করে বিদায় দেন।

সদ্য বিদায়ী নায়েক/৩১৮, জনাব মোঃ জামাত আলী বলেন, শত কর্ম ব্যস্ততার মাঝেও পুলিশ সুপার মহোদয়ের এমন আনুষ্ঠানিক বিদায় আমাকে অনন্য এক মর্যাদা দিয়েছে।

সত্যি আমি কিছুটা অবাক হয়েছি কারণ আজ ছিলো ২০২০ সালের বাংলাদেশ পুলিশের অধস্তন কর্মকর্তা এবং কর্মচারীগণের বিভাগীয় পদোন্নতি পরীক্ষার বহুনির্বাচনি (এমসিকিউ) পরীক্ষা।

আর যশোর, নড়াইল, মাগুরা ও ঝিনাইদহ জেলার পরীক্ষার্থীদের ভেনু ছিলো যশোর, সুতরাং পুলিশ সুপার মহোদয়ের উপর অনেক চাপ সেটা আমি নিজেও জানতাম।

আর সেই জন্য ধরেই নিয়েছিলাম আমার বিদায় টা হয়ত পুলিশ সুপার মহোদয়ের কাছ থেকে নেওয়া হবে না। কিন্তু শতব্যস্ততার মাঝেও যে আমাকে বিদায় দিতে পুলিশ সুপার মহোদয় আসবেন সেটা সত্যি আমার অবাক লেগেছে।

আর এমন বিদায়ে আমাকে অত্যন্ত সম্মানিত করেছে। আমি তার এমন মহানুভবতার কথা কোন দিন ভুলবো না। তিনি আরোও বলেন, আমি আরও বেশি গর্বিত হয়েছি কারণ আমার সাথে আমার পরিবারে কয়েক জন সদস্য ছিলো। তাদের সামনে এমন আনুষ্ঠানিকতার সাথে বিদায় নিতে পেরে নিজেকে অনেক বড় ভাগ্যবানও মনে হচ্ছে।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন যশোর জেলার সম্মানিত পুলিশ সুপার জনাব মুহাম্মদ আশরাফ হোসেন পিপিএম মহোদয় সহ জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ।

আরো সংবাদ