আজ - সোমবার, ২৩শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৮ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২১শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি, (শীতকাল), সময় - রাত ১১:১১

পিকুল চাঁচড়ার সর্বস্তরের জনগণের সমাদৃত,চেয়ারম্যান হিসেবে তাকেই চাচ্ছে ইউনিয়নবাসী

এম আহম্মেদ (বিশেষ প্রতিনিধি) : যশোর জেলাধীণ সদর উপজেলার প্রশাসনিক ও রাজনৈতিক গুরুত্বপূর্ণ এলাকা চাঁচড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী যশোর জেলা আওয়ামী মৎসজীবী লীগের যুগ্ন-আহবায়ক ফিরোজ কবীর পিকুল।

ইতিমধ্যেই তিনি প্রচার প্রচারণার পাশাপাশি সমানতালে চালিয়ে যাচ্ছেন জনসেবামূলক কর্মকাণ্ড। ইউনিয়নের প্রতিটি ওয়ার্ড, গ্রাম-মহল্লা, হাট-বাজারে ভোটারসহ সর্বস্তরের জনগণের সাথে কুশল বিনিময়, সৌজন্য সাক্ষাৎ, উঠান বৈঠক, মত বিনিময় সভা ও গণসংযোগ চালিয়ে যাচ্ছেন। ইউনিয়নের প্রতিটি এলাকার বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের সার্বিক খোঁজ-খবর নেয়া সহ অসহায় ও দুস্থ মানুষের সুখ-দুঃখ কিছুটা লাঘব করার মানসিকতা নিয়ে নিজের সাধ্যমত সহযোগিতা করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন এই তরুন সমাজ সেবক।

ছবি : চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী ফিরোজ কবীর পিকুলের গনসংযোগ অব্যহত

করোনাকালীন সময়ে গোপনে কর্মহীনদের খাদ্য সামগ্রী, মাস্ক, হ্যান্ড স্যানিটাইজার বিতরণ, ঈদ-পার্বনে অস্বচ্ছল প্রতিটি পরিবারে চাল, ডাল, আলু, সেমাই, চিনি, লবণ, ও সাবান বিতরণ, শীতার্তদের মাঝে কম্বল বিতরণ সহ  বিভিন্ন সামাজিক কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ করা, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান অথবা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সাধ্যমত সহযোগিতা দিয়ে জনসমাদৃত ফিরোজ কবীর পিকুল। আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন আসনটিতে চেয়ারম্যান হতে কে পাচ্ছেন নৌকার মনোনয়ন? এ প্রশ্নের উত্তর পেতে প্রতিদ্বন্দ্বি সকল প্রার্থীর ভক্ত ও কর্মী-সমর্থকদের আরও কয়েক মাস অপেক্ষা করতে হবে।

আরও পড়ুন চাঁচড়ায় পিকুলের উদ্যোগে ২৫০ টি কম্বল বিতরণ সম্পন্ন

খানজাহান আলী 24/7 নিউজ এর ধারাবাহিক প্রতিবেদনের অংশ হিসেবে “ইউনিয়ন চেয়ারম্যান পদে কে এগিয়ে” পবের্র অনুসন্ধানে চাঁচড়ায় সাধারণ ভোটারদের নজর তরুন সমাজসেবক যশোর জেলা আওয়ামী মৎসজীবী লীগের যুগ্ন-আহবায়ক ফিরোজ কবীর পিকুল‘র দিকে।  

সরজমিনে পুরো ইউনিয়ন ঘুরে দেখা যায়, পিকুলের পক্ষে প্রচারণা চালাচ্ছেন স্থানীয় কর্মী-সমর্থকেরা। ভোটারদের চুলচেরা বিশ্লেষণে কয়েক ধাপ এগিয়ে তিনি। কে হচ্ছেন চাঁচড়া’র চেয়ারম্যান?এমন প্রশ্ন নিয়ে ইউনিয়নের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চলে ঘুরেছেন খানজাহান আলী 24/7 নিউজ প্রতিনিধি। ইউনিয়নের দারোগার মোড় নামক ছোট্ট বাজারের একটি চায়ের দোকানে ঢুকে স্থানীয় উপস্থিত সাধারণ ভোটারদের কাছে “কে হচ্ছেন চাঁচড়া’র চেয়ারম্যান?” এমন প্রশ্নের উত্তরে কয়েকজন বলেন , “চাঁচড়া ইউনিয়নে তরুন নেতৃত্ব প্রয়োজন। একপর্যায়ে তারা ইউনিয়নের সাধারণ মানুষের প্রিয় মুখ ফিরোজ কবীর পিকুলের নাম বলেন। তারা বলেন, আওয়ামীলীগের পক্ষে যদি পিকুল নির্বাচনে দাড়ান তাহলে বিএনপির প্রার্থীর ভরাডুবি হবে। দল মত নির্বিশেষে সবাই পিকুলকে ভালোবাসে।” চায়ের চুমুকের ফাঁকে তারা পিকুলের প্রশাংশা করে বলেন, “পিকুল ঈদের সময় গরীব মানুষের বাজার করে দিয়েছেন, শীতের সময় শীতের কাপড় (কম্বল) দিয়েছেন, করোনার সময় পিকুল গোপনে ত্রাণ সহায়তা দিয়েছেন। পিকুল চেয়ারম্যান হলে তৃণমূলের মানুষ খুশি হবে।”

ছবি: কর্মহীন ও শীতার্ত মানুষের পাশে ফিরোজ কবীর পিকুল

এসময় চায়ের দোকানে উপস্থিত ছিলেন চাঁচড়া ইউনিয়নের একজন প্রবীন আওয়ামীলীগ নেতা। তিনি বলেন, “বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যদি পিকুলকে নৌকার প্রার্থী বিবেচনা করেন তাহলে পিকুল নিমিষেই বিপুল ভোটে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হবেন।” তিনি আরও বলেন, “পিকুলের মাঝে সততা আছে পাশাপাশি তিনি সবসময় অসহায় দুস্থ মানুষের সেবায় নিজেকে ‍নিয়োজিত রাখেন। আমাদের সকলের চাওয়া পিকুল যেনো চেয়ারম্যান হয়।”     

আরও পড়ুন জেলা মৎসজীবী লীগের কমিটি গঠন – শাহীন চাকলাদার কে ফুলেল শুভেচ্ছা।

চাঁচড়া ইউনিয়নের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চলে ঘুরে জানা যায়, পিকুল একজন কৃষিবান্ধব নেতা। স্থাণীয় আওয়ামীলীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ সহ সকল অঙ্গ সংগঠনের  নেতাকর্মী সহ শিক্ষক ও শুশীল সমাজের সকল চাওয়া পাওয়ার কেন্দ্রে এই তরুন ফিরোজ কবীর পিকুল। তাছাড়া বিভিন্ন সময় তিনি অসহায় মানুষের কথা ভেবে স্থায়ী কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করে দিয়েছেন তিনি। এজন্যই দল মত নির্বিশেষে সকলেই চেয়ারম্যান হিসেবে তাকেই চাচ্ছেন।

    

ছবি: কর্মহীন এক ব্যাক্তিকে ভ্যান উপহার দিলেন ফিরোজ কবীর পিকুল

মুঠোফেনে ফিরোজ কবীর পিকুলের সাথে কথা বললে তিনি বলেন, “ভোটারদের স্বতঃস্ফূর্ত সাড়া পাচ্ছি। জয়ের ব্যাপারে আমি শতভাগ আশাবাদী। আমাকে ভোট দিলে ভোটের পরেও আমাকে পাশে পাবে। বুদ্ধি হওয়ার পর থেকে জনকল্যাণের লক্ষ্যে মানুষের কল্যানে কাজ করছি। বিএনপির সময় কয়েকটি মামলায় চরম ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি। ইউনিয়ন ছাত্রলীগ ও যুবলীগের সক্রিয় কর্মী থেকে বর্তমানে জেলা আওয়ামী মৎসজীবী লীগের যুগ্ন-আহবায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছি। বাঙালী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাকে সুযোগ দিলে এবং আপনারা দলমত নির্বিশেষে ভোট দিয়ে বিজয়ী করলে গরিব-দুঃখী মেহনতি মানুষের কল্যাণে সব উন্নয়ন কাজ করার সুযোগ চাই। তিনি বলেন, যশোর জেলা ও সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের নেতাদের পরামর্শ নিয়ে নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করেছি। আল্লাহ যদি কপালে লিখলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাকে নৌকা প্রতিকে মনোনয়ন দিলে আমি তৃণমূলের কল্যানে কাজ করতে চাই।”

আরো সংবাদ