বিদেশে পলাতক পিকে হালদারের দুর্নীতির সহযোগী হিসেবে তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
মঙ্গলবার বিকেলে রাজধানীর মতিঝিল এলাকা থেকে দুদকের একটি বিশেষ টিম তাদের গ্রেপ্তার করে।
ওই তিনজন হলেন- ইন্টারন্যাশনাল লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেসের সাবেক ভারপ্রাপ্ত এমডি সৈয়দ আবেদ হাসান, পি কে হালদারের ঘনিষ্ঠ বান্ধবী ইন্টারন্যাশনাল লিজিংয়ের ভাইস প্রেসিডেন্ট নাহিদা রুনাই ও ইন্টারন্যাশনাল লিজিংয়ের সিনিয়র ম্যানেজার রাফসান রিয়াদ চৌধুরী।
দুদকের উপ-পরিচালক গুলশান আনোয়ার প্রধানের নেতৃত্বে দুদকের বিশেষ টিম তাদের গ্রেপ্তার করে। টিমের অন্য দুই সদস্য হলেন- দুদক সহকারী পরিচালক নার্গিস সুলতানা ও উপসহকারী পরিচালক আফনান জান্নাত কেয়া।
সূত্র জানায়, ইন্টারন্যাশনাল লিজিংয়ের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে গত ২৪ জানুযারি করা মামলায় ওই তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারের পরপরই তাদেরকে আদালতে সোপর্দ করা হয়।
এরপর ঢাকার ভারপ্রাপ্ত মহানগর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক রবিউল আলমের আদালতে তাদের বিরুদ্ধে সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়। শুনানি শেষে বিচারক প্রত্যেকের জন্য পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
দুদক সূত্র জানায়, আসামিরা পরস্পর যোগসাজসে অসৎ উদ্দেশে জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে ভুয়া অস্তিত্বহীন আনান কেমিক্যাল লিমিটেড নামীয় প্রতিষ্ঠানের নামে জাল রেকর্ডপত্র তৈরি করে পরে পেশ করে ইন্টারন্যাশনাল লিজিং থেকে ঋণের ৭০ কোটি ৮২ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছেন।
ভুয়া কাগজপত্রসহ ঋণের আবেদনটি পাস করিয়েছিল তৎকালীন পরিচালনা পর্ষদ। ওই পরিমাণ অর্থ আত্মসাতে পি কে হালদারের প্রত্যক্ষ হাত ছিল।
গ্রেপ্তার তিন আসামির বিরুদ্ধে দণ্ডবিধি ১৮৬০ এর ৪০৯, ৪২০, ৪৬৭, ৪৬৮, ৪৭১, ১০৯ ধারা, ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারা ও মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন ২০১২ এর ৪ (২), (৩) ধারা লঙ্ঘনের অভিযোগ আনা হয়েছে। যা শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
এর আগে গত ৪ জানুয়ারি এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংক ও রিলায়েন্স ফাইন্যান্সের সাবেক এমডি পিকে হালদারের ঘনিষ্ঠ সহযোগী শংখ বেপারিকে গ্রেপ্তার করেছে দুদক। গত ১৩ জানুয়ারি তার তথাকথিত বান্ধবী অবন্তিকা বড়ালকে, ২১ জানুযারি পিকে হালদারের ব্যক্তিগত আইনজীবী সুকুমার মৃধা ও তার মেয়ে অনিন্দিতা মৃধাকে ও ২৪ জানুয়ারি পিকে হালদারের দুর্নীতির প্রধান দুই ঘনিষ্ঠ সহযোগী পিপলস লিজিংয়ের সাবেক চেয়ারম্যান উজ্জল কুমার নন্দী ও ইন্টারন্যাশনাল লিজিংয়ের সাবেক এমডি রাশেদুল হককে গ্রেপ্তার করা হয়।