আজ - রবিবার, ২৪শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৯ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২২শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি, (হেমন্তকাল), সময় - সকাল ৮:৩৩

পুরাতন মোবাইল কিনে খুনের মামলায় ফেঁসে গেল হোটেল শ্রমিক।

 

বগুড়ায় পুরাতন মোবাইল কিনে খুনের মামলায় ধরা খেল গত ০৮ই নভেম্বর-২২ইং তারিখ রোজ মঙ্গলবার শিবগঞ্জ উপজেলার মহাস্থানগড় এলাকার এক হোটেল শ্রমিক। দীর্ঘ কয়েক মাস আগে ঢাকা জেলার কামরাঙ্গী চরের ১৩-১৪ বছর বয়সের এক যুবক ০১টি কাপড়ের দোকানে চাকরি করতো। দিন শেষে রাতে বাড়ী ফেরার পথে তাকে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করে কিছু দুর্বৃত্তরা। তারা শুধু হত্যা করেই শান্ত হয়নি খুনিরা তাকে হত্যা শেষে তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি ছিনিয়ে নিয়ে যায়।

অপরদিকে খুনের রহস্য উদঘাটন করতে কামরাঙ্গী চর থানার পুলিশ মাঠে জোরালো অভিযান শুরু করে। পুলিশ নিহতের একটি Vivo মোবাইল ফোনের সূত্র ধরে খুনিকে শনাক্ত করতে সাইবার প্রযুক্তি ব্যবহার করে। এরপর খুনি শনাক্ত করতে নিহতের মোবাইল ফোন ট্রাইকিং করে পুলিশ নিশ্চিত হয় নিহতের মোবাইল ফোনটি ব্যবহার করছে বগুড়া জেলার শিবগঞ্জ উপজেলার মহাস্থান গড় এলাকার এক হোটেল শ্রমিক। কামরাঙ্গী চর থানা পুলিশ চলে আসে বগুড়া শিবগঞ্জ উপজেলার মহাস্থান গড়ে। ট্রাইকিং সূত্রে জানতে পারে মোবাইল ফোনটি ব্যবহার করছে মোঃ রাশেদুল ইসলাম নামের এক যুবক। সে একটি খাবার হোটেলের কারিগর হিসাবে শ্রমিকের কাজ করে। তার বাড়ী গাইবান্ধা জেলায়। মোঃ রাশেদুল ইসলাম প্রায় ০১ যুগের অধিক সময় মহাস্থান গড় বাসস্ট্যান্ডে একটি খাবার হোটেলে শ্রমিকের কাজ করে। সে ছেলে হিসাবেও অনেক ভালো। তার সম্পর্কে খোঁজ খবর নিয়েও মোটামুটি ভালো বলে জানা যায়। কিন্তু তাতে কি আইনের চোখের নজর তো তার দিকেই বার বার পরচ্ছে।

কারন মার্ডার হওয়া ব্যক্তির ফোনের সিম থেকেই বার বার কথা হচ্ছে। তাকে আটক করতেই কামরাঙ্গী চর থানা পুলিশ ০২দিন যাবৎ অভিযান চালায় মহাস্থান গড়ে। তারা বগুড়া শিবগঞ্জ থানা পুলিশকে অবগত করে তাদের সার্বিক সহযোগীতায় মোঃ রাশেদুল ইসলামকে আটক করতে সক্ষম হয়। শিবগঞ্জ থানা পুলিশ ও কামরাঙ্গীচর থানা পুলিশ কালো রংগের একটি হাইস গাড়ী নিয়ে আসা ফোর্স অভিযান চালিয়ে মহাস্থান জাদুঘর রোডের নেসকো বিদ্যুৎ অফিসের পূর্ব পাশে একটি ভাড়া বাসা থেকে রাশেদুলকে আটক করে পুলিশ।

এসময় তার কাছে সেই সিম পাওয়া গেলেও কাঙ্ক্ষিত সেই খুন হওয়া মোবাইল ফোন পাওয়া যায়নি। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে রাশেদুল জানায়,ফোনটি সে ক্রয় করে ছিল এবং সেই ফোন তার কোন এক পরিচিত ব্যক্তির কাছে বিক্রি করেছে। কোথায় কে বা-কার কাছ থেকে কেনা হয়েছে মোবাইল ফোন হাতে হ্যান্ডকাপ পড়িয়ে তাকে নিয়ে চম্পট দেয় পুলিশ। এই মোবাইল ফোন কোথায় থেকে ক্রয় করেছে এবং কোথায় বিক্রি করেছে। আদৌও কি এই ঘটনায় সংশ্লিষ্ট আছে কি না এমন প্রশ্ন রাশেদের ওপর ছুড়ে স্থানীয় লোকজন।

এবিষয়টি কামরাঙ্গীরচর থানার এসআই জয়নাল আবেদীন বলেন,যেহেতু একটি খুন হয়েছে সেই খুন হওয়া ব্যক্তির ফোনে সে তার সিম ব্যবহার করে কথা বলেছে ঘটনার পিছনে তো ঘটনা আছেই। এটি সহজে বোঝা যাবে না অনেক সময়ের প্রয়োজন।

অন্যদিকে হোটেল শ্রমিক রাশেদুল জানিয়েছে,তিনি কোন দিন ঢাকায় যায়নি। পুরোনো ফোন কিনে যেনো খুনের মামলার আসামী হলেন। সে ভাল ছেলে অনেকেই বলাবলি করলেও কোন সুপারিশ কাজে আসেনি মর্মে জানা যায়।

আরো সংবাদ