স্টাফ রিপোর্টার।। যশোর শহরের বড় বাজারের মাছ বাজারে পুলিশকে আসামী আটকে সহযোগিতা করায় ইমরান হোসেন ওরফে মুন্না (২৮) নামে এক মাছের আড়ত ম্যানেজারকে ছুরিকাঘাতে খুন করেছে দুর্বৃত্তরা।
তিনি শহরের চুড়িপট্টি এলাকার মৃত আফতাব হোসেন হিরুর ছেলে।
নিহতের চাচা শেখ রেজানুল ইসলাম রেজু ও বড় ভাই সাদেকুল ইসলাম জানান, মুন্না মাছ বাজারের ‘সেন্ট মার্টিন ফিস’ ও ‘আবুল খায়ের ফিস’ নামক দুইটি মাছের আড়তে চাকরি করতেন। মূলত ওই দুইটি প্রতিষ্ঠানের বকেয়া কালেকশন করতেন। বুধবার সন্ধ্যা ছয় টার দিকে মুন্না মাছ বাজারের আদমের চায়ের দোকানের সামনে ছিলেন। সে সময় ওই এলাকার পলাশসহ তিন-চার জন তাকে ছুরিকাঘাতে জখম করে পালিয়ে যায়। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সন্ধ্যা ছয় টা ৫০ মিনিটে পুরুষ সার্জারি ওয়ার্ডের ডাক্তার মাহমুদুল হাসান পান্নু তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
তিনি আরো জানান, চার দিন আগে এক যুবককে ছুরিকাঘাতের ঘটনায় পুলিশ পলাশসহ বেশ কয়েকজনকে তাড়া করে। সে সময় মুন্না পুলিশকে তাদের আটক করতে সহযোগিতা করে। এই ঘটনার জেরে মুন্নাকে ছুরিকাঘাত করা হয়েছে।
জরুরি বিভাগে কর্তব্যরত ডাক্তার মাহাবুবুর রহমান বলেন, মুন্নাকে জরুরি বিভাগে আশংকাজনক অবস্থায় আনা হয়। তার বাম পায়ের উরু ও দুহাতে ছুরিকাঘাতের চিহ্ন দেখা গেছে। তার শরীর থেকে প্রচুর রক্ত ক্ষরণ হয়েছে। তাকে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দিয়ে ওয়ার্ডে পাঠানোর কিছু সময় পর তার মৃত্যু হয়।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তৌহিদুল ইসলাম জানান, মুন্না হত্যার কারণ জানা যায়নি। তবে বাজার কেন্দ্রীক দ্বন্দের কারণে মুন্না খুন হতে পারে। মুন্না হত্যার কারণ উদঘাটনের জন্য জড়িতদের আটকের অভিযান চলছে। খুনের সাথে জড়িতদের আটকের পর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।