স্টাফ রিপোর্টার।। ধর্ষণ ও ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে করা মামলায় গ্রেপ্তার এফডিসির ফ্লোর ইনচার্জ আবু বক্কর সিদ্দিক বাবু রাজধানীর তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানা হেফাজতে থাকা অবস্থায় রোববার ভোরে মারা যান।

বাবুর পরিবারের অভিযোগ, থানায় নির্যাতন করে তাকে হত্যা করা হয়েছে। যদিও পুলিশের দাবি, গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে আসামি বাবু।

এদিকে থানা হেফাজতে বাবুর মৃত্যুর প্রতিবাদে বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সভা করেছে এফডিসির কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা। তারা সহকর্মীর মৃত্যুর সঠিক তদন্ত করে দোষীদের বিচার দাবি করেন।

সোমবার (২০ জানুয়ারি) সকাল ১০টায় এফডিসির মূল ফটকের সামনে এই প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে উপস্থিত এফডিসির জনসংযোগ কর্মকর্তা হিমাদ্রি বড়ুয়া বলেন, ‘আমরা আমাদের সহকর্মীর রহস্যময় মৃত্যুর সুষ্ঠু তদন্ত চাই। সেই দাবিতেই আমরা সবাই এক হয়েছি।’

প্রতিবাদ সভা শেষে এফডিসির জহির রায়হান কালার ল্যাবের প্রজেকশন হলে একটি আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে এফডিসির ভারপ্রাপ্ত এমডি নুজহাত ইয়াসমিনসহ অন্যান্য কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন। সেখানে বক্তারা মৃত বাবুর মৃত্যু নিয়ে বেশ কিছু প্রশ্ন তুলেন। তারা পুলিশি হেফাজতে একজন সরকারি কর্মকর্তার মৃত্যু নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন।

এসময় এফডিসির ভারপ্রাপ্ত এমডি সবাইকে শান্ত থাকতে বলেন। তিনি বলেন, ‘এটা একটা সেনসিটিভ ইস্যু। আমাদের সহমর্মীর মৃত্যুতে আমরা সবাই শোকাহত, বাকরুদ্ধ। তবে আমাদের বুদ্ধি জাগ্রত রাখতে হবে। এটাকে সুন্দর করে মোকাবিলা করতে হবে। আমরা অপেক্ষা করছি বাবু সাহেবের মৃত্যুর রিপোর্টের জন্য। সেটা হাতে এলে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। আমি সবাইকে শান্ত থাকার জন্য অনুরোধ করছি। পাশাপাশি মৃতের পরিবারকে এই শোক কাটিয়ে উঠার জন্য তাদের পাশে আমরা থাকবো।’

এদিকে এফডিসিতে নিরাপত্তা বজায় রাখতে পুলিশি পাহারা বসানো হয়েছে।

প্রসঙ্গত, গতকাল রোববার ভোরে অচেতন অবস্থায় বাবু (৪৫) নামের ওই আসামীকে পুলিশ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।