ঢাকা অফিস: দশম সংসদ নির্বাচনের মেয়াদ শেষ পর্যায়ে, দরজায় কড়া নাড়ছে একাদশ জাতীয় নির্বাচন। কী হয়, কী হবে, এসব নিয়ে নানা অনিশ্চয়তা। তারপরও পর্দার অন্তরালে চলছে নানা হিসাব-নিকাশ আর জল্পনাকল্পনা। এদিকে নির্বাচনের জন্য নিজেদের প্রস্তুত করছে রাজনৈতিক দলগুলো। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতৃত্ব থেকে এরই মধ্যে দলের তৃণমূলকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে, আগামী নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক হবে ধরে নিয়ে সেভাবেই প্রস্তুতি নিতে। অভ্যন্তরীণ কোন্দল নিরসনই দলটির এখন প্রধান চ্যালেঞ্জ। তবে আগামী একাদশ সংসদ নির্বাচনের দলীয় মনোনয়ন একটু আগেভাগেই সম্পন্ন করতে চায় ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। সাধারণত নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর আনুষ্ঠানিকভাবে প্রার্থী চূড়ান্তের প্রক্রিয়া শুরু হলেও এবার আগেভাগেই করে রাখতে চাচ্ছে দলটি। ইতোমধ্যেই তিনশ আসনে সম্ভাব্য প্রার্থীদের বিষয়ে সর্বশেষ রিপোর্ট আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে জমা পড়েছে। প্রার্থী চূড়ান্ত করতে শেষ পর্যায়ের পর্যালোচনা চলছে আওয়ামী লীগে। দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের জানিয়েছেন, গ্রহণযোগ্যতা হারানো আগের এমপি ও প্রার্থীরা বাদ পড়বেন। দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জোটের অন্য শরিক দলকে প্রায় ৫০টির বেশি আসন ছেড়ে দিয়েছিল আওয়ামী লীগ। এবার এখনো চূড়ান্ত হয়নি শরিকরা কতটি আসন পাবে। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে বিএনপিসহ ৪ দলীয় জোট প্রার্থী না দেয়ায় ১৫৩ জন প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন। বিএনপি নির্বাচনে অংশ নিক বা নিক, এবার গ্রহণযোগ্যতার ভিত্তিতে শক্তিশালী প্রার্থী মনোনয়ন দেবে আওয়ামী লীগ। কোন আসনে কাকে মনোনয়ন দেয়া হবে তা এখন চূড়ান্ত বাছাই পর্যায়ে আছে। কয়েকভাবে এবং কয়েক দফায় প্রার্থীদের বিষয়ে রিপোর্ট সংগ্রহ করেছে আওয়ামী লীগ। এ ব্যাপারে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক আশা করছেন, আগামী মাসেই চূড়ান্ত হবে মনোনয়ন প্রাপ্তদের তালিকা। অন্যদিকে, নানা অনিশ্চয়তার পরও বিএনপি নির্বাচনের এক ধরনের প্রস্তুতি শুরু করেছে। দলটি এখন সবচেয়ে বেশি চেষ্টা করছে অপেক্ষাকৃত প্রগতিশীল মনোভাবাপন্ন দলগুলোর সমন্বয়ে একটি বৃহৎ জোট গঠনের জন্য। বিএনপির পক্ষ থেকে একে জাতীয় ঐক্য নামে অভিহিত করা হচ্ছে। এ জাতীয় ঐক্যের জন্য বিএনপি সর্বোচ্চ ছাড় দিতে প্রস্তুত রয়েছে বলেও জানা যাচ্ছে।