অর্থপাচারকারী, হাতুড়ি ও হেলমেট বাহিনীর বিরুদ্ধে শুদ্ধি অভিযানে খুশি ফরিদপুরের ত্যাগী আওয়ামী লীগ নেতারা। তারা বলছেন, এক যুগ ধরে রাজনৈতিক দুর্বৃত্তদের হাতে ছিলো ফরিদপুরের আওয়ামী লীগের রাজনীতি। দলকে গতিশীল করতে বিতর্কিতদের বাদ দিয়ে নতুন কমিটি গঠনের দাবি জানিয়েছেন ত্যাগী নেতারা।
আওয়ামী লীগের ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত ফরিদপুর। অভিযোগ আছে, হাইব্রিড, অনুপ্রবেশকারীদের পৃষ্ঠপোষকতা দেয়ার কারণে এ জেলার আওয়ামী লীগের রাজনীতি চলে যায় দুর্বৃত্তদের হাতে।
সম্প্রতি জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সুবল চন্দ্র সাহার বাড়িতে হামলা এবং দুই হাজার কোটি টাকা পাচারের মামলায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযানে গ্রেফতার হয়েছেন এ জেলার আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের এক ডজন নেতা। দেরিতে হলেও এমন শুদ্ধি অভিযানে স্বস্তি প্রকাশ করেছেন ত্যাগী ও নির্যাতিত নেতার।
ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য শামসুল হক বলেন, আওয়ামী লীগের জাতীয় দিবসগুলোতেও আমরা অংশগ্রহণ করতে পারি নাই। এখন আমরা স্বস্তি পাচ্ছি।
হাতুড়ি-হেলমেট বাহিনীর ভয়ে এতোদিন যারা কোণঠাসা ছিলেন তারাও মুখ খুলতে শুরু করেছেন। সংগঠনকে শক্তিশালী করতে কেন্দ্রের নির্দেশনার দিতে তাকিয়ে আছেন তারা।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বললেন, যেখানে অভিযোগ আসবে সেখানেই চালানো হবে এমন শুদ্ধি অভিযান।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, শুধু ফরিদপুর নয় সারাদেশেই আমাদের নজরদারিতে আছে।