তৈমুর রাসেল: নারায়ণগঞ্জের ঐতিহ্যবাহী ওসমান পরিবারের সদস্য হচ্ছেন নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য হচ্ছেন শামীম ওসমান। একই সাথে তিনি নারায়ণগঞ্জ আওয়ামীলীগের একজন প্রভাবশালী নেতা। শামীম ওসমান নারায়ণগঞ্জের রাজনীতিতে বরাবরই আলোচনায় থাকেন। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। তবে এবার আলোচনায় এসেছেন বিশাল জনসমাবেশের মধ্যে দিয়ে।
২৭ অক্টোবর ওই জনসমাবেশে নেতাকর্মীদের উপস্থিতি অতীতের সকল রেকর্ড ভঙ্গ করে দিয়েছে। যার সূত্র ধরে স্বভাবতই সমাবেশের সুফল নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে নানা আলাপ আলোচনা সৃষ্টি হয়েছে। এই আলাপ আলোচনায় শামীম ওসমানের সফলতাই ফুটে উঠছে। তিনি এক ঢিলে দুই পাখি মারতে সক্ষম হয়েছেন। যার সুফল বয়ে আনবে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে।
দলীয় সূত্র বলছে, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগাম বার্তা দিতে নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য শামীম ওসমান বিশাল সমাবেশের আহবান করেছিলেন। সর্বকালের বৃহত্তর সমাবেশ করে ইতিহাস সৃষ্টি করার টার্গেট নেয়া হয়েছিল এই সমাবেশে মধ্য দিয়ে। শামীম ওসমানের এই সমাবেশ সফল করার লক্ষ্যে ফতুল্লা ও সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগ সহ গোটা নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগ ও অঙ্গসংগঠন ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করে।
তাদের সেই চেষ্টা অনুযায়ী সমাবেশ বিশাল জনসমুদ্রে পরিণত হয়। নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য শামীম ওসমানের সমাবেশে যোগদানের লক্ষ্যে সারা শহরজুড়েই অনুষ্ঠিত হয়েছে মিছিল। মিছিলের স্লোগানে মুখরিত হয়ে উঠে শহর। সংসদীয় এলাকার বিভিন্ন থানা পর্যায়ের নেতাকর্মীরা বিশাল বিশাল মিছিল নিয়ে সমাবেশস্থলে উপস্থিত হয়েছেন। সকাল থেকেই সমাবেশের বিশাল প্রস্তুতি সকলের নজর কাড়ে। সকাল গড়িয়ে দুপুর হতেই দলের নেতার্কীদের ঢল নামে তার সমাবেশে।
নেতাকর্মীদের মতে, নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য শামীম ওসমান বিশাল জনসমাবেশের মধ্যে দিয়ে নির্বাচনের আগেই তার সংসদীয় এলাকার নেতাকর্মীদের মধ্যে বিশাল জাগরণ সৃষ্টি করে দিয়েছেন। তিনি এক সমাবেশ থেকে তার এলাকার সকল পর্যায়ের নেতাকর্মীদের সরাসরি সাক্ষাৎ দিয়েছেন। একই সাথে তার জনপ্রিয়তারও প্রমাণ দিয়েছেন। ফের নতুন করে নিজেকে পরিচয় করিয়ে দিয়েছেন রাজনৈতিক অঙ্গনে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, শামীম ওসমান এই সমাবেশের মধ্য দিয়ে এক ঢিলে দুই পাখি মারার সুযোগ পেয়েছেন। সেটা হলো নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর নির্বাচনী আচরণবিধিতে বাধা রয়েছে সমাবেশ না করার। সেক্ষেত্রে শামীম ওসমান নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগেই বিশাল জনসমাবেশ করে তার কাজ এগিয়ে রেখেছেন। যেটা হয়তো তফসিল ঘোষণার করতে পারতেন না।
অন্যটি হলো শামীম ওসমান এক সমাবেশের মধ্য দিয়েই ফতুল্লা ও সিদ্ধিরগঞ্জের সকল নেতাকর্মীদের সাথে সামনা সামনি বসতে পেরেছেন। এর আগে এই সমাবেশ সফল করার লক্ষ্যে তিনি প্রত্যেক মহল্লার নেতাকর্মীদের সাথে কথা বলেছেন। ফলে আগে থেকেই শামীম ওসমান নেতাকর্মীদের সমর্থন নিজের পক্ষে নিয়ে নিয়েছেন। তিনি প্রমাণ করে দিয়েছেন এখনো নেতাকর্মীদের কাছে সমানভাবে জনপ্রিয়।
সমাবেশ সম্পর্কে বক্তব্য রাখতে গিয়ে শামীম ওসমান বলেছেন, নৌকা মার্কা ইলেকসনের জন্য আজকের এই সমাবেশ না। নির্বাচনে জন্য এই সমাবেশ না। প্রস্তুতির জন্য। শকুনরা আকাশে উঠছে। মানচিত্রে থাবা মারতে চায়। দেশের উন্নয়নকে ব্যহত করতে চায়। তাই সেসব ষড়যন্ত্রকারীদের ঠেকাতে আপনাদের সবাইকে প্রস্তুত থাকতে হবে। ইতিহাস সাক্ষী যতবার নারায়ণগঞ্জ জেগেছে ততবার বাংলাদেশ জেগেছে। এই দেশের পুর্বপুরুষরা সেই আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়ে এসেছে।