আজ - সোমবার, ২৩শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৮ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২১শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি, (শীতকাল), সময় - সকাল ৬:৪০

ফের প্যানা লাগালে ছেলের কাছে পাঠিয়ে দিব, হুমকি নিহত সাব্বির আহমেদ রাসেলের বাবাকে।

বঙ্গবন্ধু ছাত্র পরিষদ নেতা যশোরের বালিয়া ভেকুটিয়ার সাব্বির আহমেদ রাসেল হত্যা মামলার আসামির পরিবার থেকে বিভিন্ন সন্ত্রাসী এবার হত্যার হুমকি দিচ্ছে নিহত রাসেলের বাবা সালেক মৃধাকে।

গত ১৫ এপ্রিল সন্ধ্যায় যশোরের বালিয়া ভেকুটিয়ার আওয়ামী লীগ নেতা সালেক মৃধার সামনেই তার ছেলে বঙ্গবন্ধু ছাত্র পরিষদ যশোরের সাধারণ সম্পাদক সাব্বির আহমেদ রাসেলকে গলা কেটে হত্যা করে এলাকার চিহ্নিত সংঘবদ্ধ একটি সন্ত্রাসী চক্র।

অপর ছেলে আল আমিনকে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে। এ ঘটনায় ১৬ এপ্রিল রাতে বাবা আবু সালেক মৃধা এলাকার চিহ্নিত ২৪ জনকে আসামি করে মামলা করেন।

আসামি করা হয় বালিয়া ভেকুটিয়া গ্রামের মৃত শাহাদত হোসেনের ছেলে শহিদুজ্জামান শহীদ, মাঠপাড়ার মৃত রফিকুল ইসলাম মসলের ছেলে সামিরুল ইসলাম (২৮), মাধঘোপপাড়ার ফজলুর রহমানের ছেলে পিচ্চি বাবু (২৪), বালিয়া ভেকুটিয়ার সিদ্দিকুর রহমান ওরফে শিয়াল সিদ্দিকের ছেলে শাহিন, শ্মশানপাড়ার শানু ফকিরের ছেলে সোহাগ, সাগর ও সোহেল, দ্বীনছে আলীর ছেলে জনি, মূত রুহুল আমিনের ছেলে সেলিম, ইদ্রিস আলী ওরফে মাদ্রাজের ছেলে আমির হোসেন, বালিয়া ভেকুটিয়া গ্রামের স্মৃত শাহাদাতের ছেলে শামীম, বাঁশবাড়িয়া গ্রামের রন্টু মিয়ার ছেলে শান্তি, দুলাল মিয়ার ছেলে। আজাদ, মোশারফ  হোসেন ওরফে গুজুর ছেলে আশিক, চাঁদপুর গ্রামের আব্দুল মান্নানের ছেলে ওমর আলী, বালিয়া ভেকুটিয়ার মিয়ারাজ মোড়লের ছেলে ইমদাদুল হক, বালিয়া ভেকুটিয়া মাধঘোপপাড়ার মৃত সেকেন্দার আলী সেগুনের ছেলে খায়রুল ইসলাম, একই এলাকার আকরাম আলীর ছেলে হাসিব, আবু তাহের ড্রাইভারের ছেলে সবুজ হোসেন, মূত সলেমান মন্ডলের ছেলে রেজাল্টল ইসলাম, পাকদিয়া গ্রামের আয়নাল হকের ছেলে আলমগীর হোসেন, বাঁশবাড়িয়া গ্রামের মোসলেম সরদারের ছেলে রমজান আলী সরদার, বড় ভেকুটিয়া গ্রামের ইনছার আলীর ছেলে এনামুল ও আবুল হোসেনের ছেলে মতিয়ার রহমান।

এসময় তিনি কান্না জরিত কন্ঠে বলেন, তিনি আওয়ামীলীগে দীর্ঘ ৪০ বছর ধরে সময় দিয়ে এসেছেন, পুরস্কার হিসেবে খুন হলো এক ছেলে। আর এক ছেলে ঢাকায় মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে। তার মাথার খুলির হাড় ও বাম হাতের কব্জি ভেঙ্গে গেছে যা অপারেশন করতে হবে।

মামলাটি প্রথমে থানা পুলিশ ও পরে জেলা গোয়েন্দা শাখা ডিবি ভদন্ত করে। এই দুটি ইউনিট একে একে মামলার ১২ আসামি আটক করে। আর আটক এড়িয়ে চলা শুরু করে ১২ আসামি। পুলিশি আটক অভিযানের এক পর্যায়ে মামলার আসামি গত ২২ অক্টোবর আদালতে আত্মসমর্পণ করে।

এরা হচ্ছে শহিদুজ্জামান শাহীদ, খাইরুল ইসলাম, সবুজ হোসেন, শামীম, সেলিম মিয়া, মোহাম্মদ আলমগীর, রমজান সরদার, আশিক হোসেন ও আজাদ। এদের ৫ দিনের রিমান্ড চান তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি ইন্সপেক্টর মাসুম কাজী। ২৭ অক্টোবর রিমান্ড শুনানী শেষে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সাইফুদ্দিন হোসাইন ৮ জনের মধ্যে সেলিম মিয়া, আশিক হোসেনও আজাদের এক দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন। অন্যদের জামিন মঞ্জুর না করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশনা দেন।

নিহত রাসেলের বিচার চেয়ে প্যানা।

আসামিরা গ্রেফতার থাকার পরও আসামির পরিবার থেকে প্রত্যক্ষ ও পরেক্ষভাবে প্রতিনিয়ত হুমকির স্বীকার হচ্ছে নিহত রাসেলের বাবা সালেক মৃধা। তিনি আজ খানজাহানআলীকে বলেন, রাসেল হত্যার আসামি শহীদের মেঝ ভাই সাজ্জাদ (৩৫), এবং নুর ইসলাম (৩৫) তাকে বিভিন্ন ভাবে হুমকি দিচ্ছেন। তারা বলেন মামলা দিয়ে কিছু করতে পারবি না। এসময় ছালেক মৃধা বলেন, আমি আমার ছেলে হত্যার বিচার চেয়ে ৩০ টি প্যানা করেছিলাম। ওরা খুটি ভেঙ্গে দিয়ে সব প্যান্যা ছিড়ে দিয়েছে এবং হুমকি দিয়ে বলেছে ছেলে হত্যার ছবি দিয়ে যদি ফের কোন প্যানা করিস তাহলে ছেলের কাছে পাঠিয়ে দিব।

আরো সংবাদ