মুনতাসির মামুন।। পদ্মা ব্যাংকের অর্থ আত্মসাতের মামলায় রিজেন্ট গ্রুপ ও রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান সাহেদকে ৭ দিনের রিমান্ড দিয়েছেন আদালত। সোমবার ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েস শুনানি শেষে এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এর আগে বৃহস্পতিবার আদালতে সাহেদকে ১০ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন, মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দুদকের উপসহকারী পরিচালক মোহাম্মদ শাহজাহান মিরাজ। বিচারক আসামীর উপস্থিতিতে রিমান্ড শুনানির জন্য ১০ আগস্ট ধার্য করেন।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, ২০১৫ সালের ১১ জানুয়ারি থেকে ২১ জানুয়ারি সময়ে আসামিরা পারস্পরিক যোগসাজশে অসৎ উদ্দেশ্যে ক্ষমতার অপব্যবহার করে অর্থ স্থানান্তর, রূপান্তরের মাধ্যমে ঋণের নামে পদ্মা ব্যাংক লিমিটেডের গুলশান করপোরেট শাখার ১ কোটি টাকা (যা সুদাসলসহ ১৫ জুলাই পর্যন্ত স্থিতি ২ কোটি ৭১ লাখ টাকা) আত্মসাৎ করেন।
আসামীদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৪০৯/১০৯ ধারাসহ ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫ (২) ধারা এবং মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪ ধারায় মামলা হয়।
করোনার ভুয়া রিপোর্ট দেয়াসহ নানা অভিযোগে গত ৬ জুলাই রাজধানীর উত্তরা ও মিরপুরে শাহেদের মালিকানাধীন রিজেন্ট হাসপাতালে অভিযান চালায় র্যাব। অভিযানে ভুয়া করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট, করোনা চিকিৎসার নামে রোগীদের কাছ থেকে অর্থ আদায়সহ নানা অনিয়ম ওঠে আসে।
পরদিন ৭ জুলাই রাতে উত্তরা পশ্চিম থানায় ১৭ জনকে আসামি করে একটি মামলা করা হয়। পরে মামলার তদন্তভার ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশে (ডিবি) হস্তান্তর করা হয়। গত ১৫ জুলাই সাতক্ষীরার সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে শাহেদকে গ্রেফতার করে র্যাব। পরে তাকে হেলিকপ্টারে করে ঢাকায় আনা হয়।