আজ - সোমবার, ২৩শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৮ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২১শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি, (শীতকাল), সময় - বিকাল ৩:১৬

বন্ধ হচ্ছে বেনাপোলে ভারতফেরত যাত্রীদের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিন

যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে দেশে আসা ভারতফেরত যাত্রীদের বাধ্যতামূলক প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে আর থাকতে হচ্ছে না। আগামীকাল বুধবার থেকে করোনা নেগেটিভ সনদপত্র থাকা যাত্রীদের বাড়িতে কোয়ারেন্টিনে পাঠানো হবে। যশোর ও বেনাপোলের বিভিন্ন আবাসিক হোটেলে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে থাকা ৩৩২ যাত্রীকে বুধবার আরটি-পিসিআর করোনা পরীক্ষার মাধ্যমে ছাড়পত্র দেওয়া হবে।

আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগনিয়ন্ত্রণ শাখা থেকে এ–সংক্রান্ত একটি চিঠি যশোরে পৌঁছেছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (রোগনিয়ন্ত্রণ ও লাইন ডিরেক্টর) অধ্যাপক মো. নাজমুল ইসলাম স্বাক্ষরিত ওই চিঠিতে বলা হয়েছে, ভারতফেরত যাত্রীদের আরটি-পিসিআর করোনা পরীক্ষার নেগেটিভ সনদপত্র দেখিয়ে নিজ বাড়িতে ১৪ দিনের কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে। ৮ সেপ্টেম্বর থেকে এ নির্দেশনা কার্যকর করা হবে। তবে ১০ বছরের কম বয়সী যাত্রীদের ক্ষেত্রে করোনা নেগেটিভ সনদপত্র দেখাতে হবে না। যাত্রীদের শরীরে করোনাভাইরাসের উপসর্গ থাকলে তাঁকে আইসোলেশনে থাকতে হবে। যাঁরা ইতিমধ্যে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে আছেন, আরটি-পিসিআর পরীক্ষার মাধ্যমে তাঁদের হোম কোয়ারেন্টিন বা আইসোলেশনে পাঠানোর ব্যবস্থা করতে হবে।

তবে যাত্রীদের শরীরে করোনাভাইরাসের উপসর্গ থাকলে তাঁকে আইসোলেশনে থাকতে হবে।

জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, ভারত থেকে ফেরা ৩৩২ যাত্রী যশোরে কোয়ারেন্টিনে আছেন। তাঁদের মধ্যে বেনাপোলের আবাসিক হোটেলে ১৯৫ জন, যশোর শহরের হোটেল ও পিটিআই রেস্ট হাউসে ১০৭ জন এবং ঝিকরগাছা উপজেলার গাজীর দরগাহ মাদ্রাসায় ৩০ জন আছেন।

এ ব্যাপারে যশোরের জেলা প্রশাসক মো. তমিজুল ইসলাম খান বলেন, আজ সন্ধ্যায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে এ–সংক্রান্ত একটি চিঠি পেয়েছেন। চিঠির নির্দেশনা অনুযায়ী বুধবার থেকে ভারতফেরত যাত্রীদের আর প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে না। যাঁরা কোয়ারেন্টিনে আছেন, তাঁদের করোনা পরীক্ষার মাধ্যমে ছাড়পত্র দেওয়া হবে।

আরো সংবাদ