আজ - সোমবার, ২৩শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৮ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২১শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি, (শীতকাল), সময় - দুপুর ১২:২০

বাংলাদেশকে হুমকি দিয়ে রাখল স্কটল্যান্ড

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বাংলাদেশ দলের গ্রুপে আছে স্কটল্যান্ড, ওমান ও পাপুয়া নিউগিনি। যেখানে কাগজে–কলমের শক্তি, অভিজ্ঞতা, ঐতিহ্য—সব দিক থেকে বাংলাদেশই ফেবারিট। এরপর যদি কোনো দলের নাম নিতে হয় সেটা স্কটল্যান্ড। কাল ওমানের আল আমিরাত ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সেই স্কটল্যান্ডের বিপক্ষেই বাংলাদেশ দল খেলবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে তাদের প্রথম ম্যাচ।

কিন্তু স্কটিশ কোচ শেন বার্জার এসব ‘ফেবারিট’ তকমা নিয়ে মাথা ঘামাতে চান না। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের অনিশ্চয়তায় যে কেউই করতে পারে বাজিমাত—এমন তত্ত্বেই বিশ্বাসী তিনি। বাংলাদেশ দলকে গ্রুপ ‘বি’র বাকি দুই প্রতিপক্ষ ওমান ও পাপুয়া নিউগিনির কাতারেই দেখছেন তিনি।

স্কটল্যান্ডের কোচ বলেন, ‘আমরা জানি, নিজেদের সেরাটা খেলতে পারলে আমরা সব দলকেই বিপাকে ফেলতে পারব। সংক্ষিপ্ততম সংস্করণ সব দলকেই কাছাকাছি নিয়ে আসে। আমরা জানি, আমাদের সামর্থ্য আছে। যদি নিজেদের সেরাটা দিতে পারি, যেকোনো দলকে হারাতে পারি আমরা, তা বাংলাদেশ হোক বা ওমান বা পাপুয়া নিউগিনি। গ্রুপ ম্যাচগুলোয় বাংলাদেশকে আমরা পাপুয়া নিউগিনি বা ওমানের চেয়ে ওপরে দেখি না।’

বাংলাদেশের জন্য এ গ্রুপে স্কটল্যান্ডই যে বড় হুমকি, সেটিও বলেছেন বার্জার, ‘আমরা জানি, সব দলই আমাদের হারাতে চাইবে। তবে আমরা তাদের সবার জন্যই হব সবচেয়ে বড় ম্যাচ। আমরা প্রস্তুত’

স্কটল্যান্ডের প্রস্তুতিটাও ভালো হয়েছে। গত ১০ দিনে সংযুক্ত আরব আমিরাতে ৪টি ম্যাচ খেলেছে তারা। যার সব কটিতেই জিতে দলটার আত্মবিশ্বাস এখন তুঙ্গে। ওদিকে বাংলাদেশ দল ওমান ‘এ’ দলের বিপক্ষে জিতলেও শ্রীলঙ্কা ও আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে হেরেছে।

স্কটল্যান্ডের কোচ তাই অঘটন ঘটানোর সুযোগ খুঁজছেন, ‘বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশের মতো মানসম্পন্ন দলের বিপক্ষে লড়াইয়ের আগে আমরা দারুণ ছন্দে আছি। নেদারল্যান্ডস, নামিবিয়ার বিপক্ষে জয়গুলো আমাদের ভালো অবস্থানে এনে দিয়েছে। চাপের সঙ্গে পরিচিত হয়েছি আমরা, বড় মুহূর্তগুলো জয়ের অভ্যাস গড়েছি। ভুলও করেছি, তবে গত এক মাসে সত্যিই ভালো ক্রিকেট খেলেছি আমরা।’

কন্ডিশনের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার ব্যাপারও স্কটল্যান্ডের। ২০১৯ সালে আরব আমিরাতে গ্লোবাল টি-টোয়েন্টির বাছাইপর্বের সময় গরম সহ্য করতে না পেরে ভুগতে হয়েছিল স্কটিশদের। সে জন্য এবার বিশ্বকাপ শুরুর প্রায় এক মাস আগে থেকেই মধ্যপ্রাচ্যে এসেছে দলটি। কন্ডিশনের সঙ্গে যে দলটি মানিয়ে নিয়েছে, সেটি বোঝাই যাচ্ছে, তাদের প্রস্তুতি ম্যাচের ফলাফলে।

আরো সংবাদ