বাগেরহাটে সাংবাদিক হায়াত উদ্দিন হত্যা মামলার দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
সোমবার (৬ অক্টোবর) বিকেলে গ্রেপ্তার আসামিরা হত্যার সঙ্গে জড়িত মর্মে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন।
ওই দুই আসামি হলেন, বাগেরহাট সদর উপজেলার গোপালকাঠি এলাকার মোহাম্মদ ওমর ফারুক ওরফে ইমন হাওলাদার (২৫) এবং একই এলাকার মোহাম্মদ আরিফুল ইসলাম ওরফে আশিক (২৫)।
এর আগে, রোববার বিকেলে রাজধানীর আশুলিয়া এলাকার গোল্ডেন সিটি আবাসিক হোটেলের চতুর্থ তলার ১১৮ নম্বর কক্ষ থেকে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের সদস্যরা এই তাদের গ্রেপ্তার করেন।
বাগেরহাট জেলা গোয়েন্দা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) স্নেহাশিস দাশ বলেন, ‘পুলিশ সুপারের নির্দেশনায় গোয়েন্দা পুলিশের একটি চৌকস দল প্রযুক্তিগত সহায়তা ও তথ্য বিশ্লেষণের মাধ্যমে হত্যাকাণ্ডে জড়িতের অভিযোগে দুজনের অবস্থান শনাক্ত করতে সক্ষম হই। পরে ঢাকার আশুলিয়া থেকে দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তারা হত্যার দায় স্বীকার করেছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আসামিরা প্রাথমিকভাবে জানিয়েছে, সাংবাদিক হায়াত উদ্দিনের ফেসবুকে দেওয়া একটি পোস্টকে কেন্দ্র করে তাদের মধ্যে বিরোধ তৈরি হয়। পরে শুক্রবার পূর্ব পরিকল্পিতভাবে তারা হায়াত উদ্দিনকে হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা চালায়। গ্রেপ্তার হওয়া আসামি দুজনসহ তাদের সহযোগীরা ধারালো চাপাতি, রামদা, ছুরি, লোহার রড ও হাতুড়ি নিয়ে মোটরসাইকেলে করে গিয়ে সাংবাদিক হায়াত উদ্দিনের ওপর হামলা চালায়। এতে তার মাথা, ঘাড়, পাঁজর, পেট ও পায়ে গুরুতর জখম হয়। পরে গুরুতর অবস্থায় তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।’
এ ঘটনায় জড়িত অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানান এই কর্মকর্তা।
প্রসঙ্গত, শুক্রবার সন্ধ্যায় শহরের হাড়িখালি এলাকায় সাংবাদিক হায়াত উদ্দিনকে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে এবং ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর আহত করেন একই এলাকার মো. ইসরাইল মোল্লা ও তার সহযোগীরা। পরে হাসপাতালে নেওয়া হয়ে তাকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক। হায়াত হত্যাকাণ্ডে রোববার সন্ধ্যায় নিহতের মা হাসিনা বেগম বাদী হয়ে বাগেরহাট সদর থানায় এ মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় মো. ইসরাইল মোল্লাকে প্রধান আসামি করে সাত জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এ ছাড়া অজ্ঞাতনামা আরও ১০-১২ জনকে আসামি করা হয়েছে।